ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়াতে বেলারুশে পুতিন

রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। (ছবি : রয়টার্স/স্পুৎনিক/গ্যাভ্রিল গ্রিগোরভ/ক্রেমলিন)

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশ সফরে গিয়েছেন। তিনি বেলারুশকে ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি জড়ানোর উদ্যোগ নিতে পারেন বলে আশঙ্কা বাড়ছে। এদিকে সোমবার কিয়েভের ওপর আরো হামলা ঘটেছে।

প্রায় ১০ মাস ধরে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়ে গেলেও তেমন সুবিধা করে উঠতে পারছে না রাশিয়া।

আরো জমি জবরদখল করতে ব্যর্থ হয়ে ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এবার বেলারুশের সহায়তায় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আরো বড় আকারের সামরিক অভিযানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পুতিন বেলারুশ সফরে এমন উদ্যোগ চূড়ান্ত করতে পারেন বলে ইউক্রেন মনে করছে। বেলারুশে মোতায়েন রুশ সৈন্যরা মহড়ার প্রস্তুতি নেওয়ায় এমন আশঙ্কা বাড়ছে। রাশিয়াকে সাহায্য করলেও বেলারুশ এখনো সরাসরি ইউক্রেন যুদ্ধে জড়ায়নি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি রবিবার বলেন, রাশিয়া ও বেলারুশ সীমান্তে সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের লাগাতার অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি আশ্বাস দেন।  

জেলেনস্কির মতে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কাকে যা-ই করতে রাজি করা হোক না কেন, সেটা ইউক্রেন ও ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মতোই ন্যক্কারজনক হবে। রাশিয়ার তীব্র আক্রমণ সত্ত্বেও বাখমুত শহরের ওপর ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে সোমবার ভোরেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও সংলগ্ন এলাকার ওপর রাশিয়া আবার হামলা চালিয়েছে। সামরিক প্রশাসনের সূত্র অনুসারে, ৯টি ইরানি ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তবে সতর্কবাণীর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও শহরে নতুন ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায় নি। শহরের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন।

রুশ হামলার মোকাবেলা করতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশ্যে আরো অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ডাক দেন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ৩০ লাখ মানুষের জন্য সেই পরিষেবা আবার চালু করা সম্ভব হয়েছে। এর আগের দিন ৬০ লাখ মানুষ পরিষেবা পেয়েছে। বেশির ভাগ শহরে পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করে তোলা হচ্ছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, রাশিয়া শীতকালে ইউক্রেনের ওপর আরো বড় আকারে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি রাজধানী কিয়েভ দখল করাও তাদের লক্ষ্যের মধ্যে পড়ে। পুতিন রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনে হামলার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রস্তাব চেয়েছেন। রাশিয়ার টেলিভিশনে এমন উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

LEAVE A REPLY