একদিকে ভারত অন্যদিকে বাংলাদেশ। মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ধলাই নদী। নদীর দুই পাড়ে সারি সারিভাবে বসে আছে অসংখ্য সাদা রঙের পাথর। ওপরে নীল আকাশ আর তার ঠিক নিচেই সবুজ পাহাড়। বলছিলাম সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকার কথা।
সিলেটের অন্যতম দর্শনীয় স্থান সাদা পাথরে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিতে ধলাই নদীর শীতল পানির স্পর্শ নিতে এসেছেন পর্যটকরা। আবহাওয়া ও মৌসুম বদলের সাথে সাথে পাল্টে গেছে সাদা পাথরের রূপ ও চিত্র।
ময়মনসিংহ থেকে ঘুরতে আসা ফুয়াদ আহমদ বলেন, সাদা পাথর এলাকায় এসে আমি পুরো মুগ্ধ। এত সুন্দর প্রকৃতি এর আগে আমি কোনো দিন দেখিনি। সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে ভারত থেকে বয়ে আসা ধলাই নদীর পানির শীতল স্পর্শ আমি আবার নিতে আসবো।
সিলেট শহর থেকে মাত্র ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বে হওয়ায় কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর এলাকা স্থানীয়দেরও পছন্দের অন্যতম তালিকায় রয়েছে। তাইতো সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই পরিবার নিয়ে ছুটে আসেন একটু বিনোদনের জন্য।
সাদা পাথর পর্যটন নৌকাঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষের সদস্য তাওহীদ মিয়া জানান, শুক্রবারে প্রায় ১৫ হাজার পর্যটক সাদা পাথর ঘুরে গেছে। শনিবার ও রবিবার দুদিনে আরও বাড়বে বলে আশা করছেন।
সাদা পাথর রিসোর্টের জিএম সাইফুল ইসলাম জানান, টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিসহ পুরো ডিসেম্বর মাস রিসোর্টের অধিকাংশ রুম বুকিং রয়েছে। এভাবে পর্যটক আগমন স্বাভাবিক থাকলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা কিছুটা হলেও লাভবান হবে।
সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে এসে সিলেট নগরীর শামীমাবাদ এলাকার বাসিন্দা মইনুল ইসলাম বলেন, আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে পুরো সপ্তাহ ব্যস্ত সময় পার করি। শুক্রবার পরিবার নিয়ে একটু ঘুরতে চাই। সাদা পাথরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় ও এখানকার পরিবেশ অপরুপ হওয়ায় এখানে বেশি আসি।
ছুটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, সাদা পাথরে তিনদিনের ছুটিতে অনেক পর্যটকদের সমাগম ঘঠেছে। আমাদের থানার পক্ষ থেকে পুলিশের টিম তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আমরা সতর্ক রয়েছি।কেএইচ