টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২২ বছর পরও লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ যে দুর্বল- তা আর বলে দিতে হয় না। দেশের ক্রিকেটের হর্তাকর্তারাও এটা স্বীকার করেন। টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির কাঠামো শক্ত করতে বহুদিন ধরেই দাবি উঠেছে, সংবাদপত্রে লেখালেখি হয়েছে বিস্তর। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ভারতের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৩ উইকেটে হারের পর আবারও ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট নিয়ে মুখ খুললেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের যে কাঠামো, তাতে বছরে একজন ক্রিকেটার ১০টার বেশি ম্যাচ খেলতে পারেন না! এই বিষয়টি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ম্যাচ আমাদের আরও বাড়াতে হবে, যদি আমরা টেস্ট ক্রিকেটে সিরিয়াসলি উন্নতি করতে চাই। একজন ক্রিকেটারের ৫-৭-১০ ম্যাচের যে অভিজ্ঞতা, আর ৫০-৬০-৭০ ম্যাচ খেলার যে অভিজ্ঞতা, এটা অনেক পার্থক্য গড়ে দেয়। আমি নিশ্চিত, ভারতের যে ক্রিকেটাররা এসেছে, ওদের প্রায় সবার একশর ওপরে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা আছে। ‘
সাকিব নিজে যেমন গত ১০ বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে সাদা পোশাকে ম্যাচ খেলেছেন একটি। সেটাও ২০১৫ সালের জাতীয় লিগে। বিষয়টি স্বীকার করে সাকিব বলেন, ‘আমি এতদিন ধরে আছি, হয়তো আমি অনেক দিন ঘরোয়া খেলি না, তবে অন্যান্য যারা খেলে, একটা মৌসুমে কয়টা ম্যাচ খেলে? ৬টা থেকে ৮টা হয়তো। যদি এরকম খেলে, ১০ বছরে হবে ৮০টা ম্যাচ। আমরা যদি ৮০টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ কোনোভাবে ৫ বছরে খেলতে পারি, আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালো টেস্ট ক্রিকেটার বের হবে। ‘