নর্ডিক সীমান্তে রুশ সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা

সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ঘোষণা করেছেন, নর্ডিক সীমান্তের কাছে রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তারা একটি ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করেছেন। এটি অচিরেই কার্যকর করা হবে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি একথা জানান।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ‘রিয়া’ জানিয়েছে, রাশিয়া তার উত্তরে নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডের সীমান্ত বরাবর মুরমানস্ক অঞ্চলে আবার সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে।

বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ন্যাটো জোটে যুক্ত হতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া তার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোতে নতুন সামরিক ইউনিট প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। অর্থাত্ মূলত রুশ সীমান্ত বরাবর সামরিক ক্ষমতা বাড়াতে ন্যাটোর প্রচেষ্টার প্রতি উত্তরেই রাশিয়া এর প্রয়োজন বোধ করছে।
তবে নরওয়ের সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া বড় ধরনের যুদ্ধ চায়, এমন কোনো ইঙ্গিত তাঁরা পাচ্ছেন না। নরওয়ের সশস্ত্র বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল গেইর হ্যাগেন কার্লসেন বলেছেন, ‘যারা ইউক্রেনকেই সামলাতে পারছে না, তারা ন্যাটো এবং এর শক্তিগুলোকে সামলাতে সক্ষম হবে, তার সম্ভাবনা খুব কম’। রাশিয়ার উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকটি ছিল মূলত দেশের জনগণ ও বহির্বিশ্বের কাছে তাঁদের শক্তি প্রকাশের একটি বার্তাস্বরূপ। পুতিন তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়াকে অবশ্যই পারমাণবিক বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আরো উন্নয়ন করতে হবে। অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু বলেন, রাশিয়ার ১৫ লাখ সেনার একটি সামরিক বাহিনী দরকার, যেখানে রয়েছে প্রায় ১০ লাখ।  

LEAVE A REPLY