ছবি : পিক্সাবে এবং অশ্বিন প্রসাথ
ভারতের কয়েকটি শহরে ইতিমধ্যে চালু হয়েছে ৫জি পরিষেবা। আগামী বছর দুর্গাপূজার আগে দেশটির সর্বত্র ৫জি পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এই ৫জি বিমান সুরক্ষায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। তাই আপাতত সেখানকার বিমানবন্দর চত্বরসহ সংলগ্ন এলাকাগুলোকে অত্যাধুনিক এই টেলিকম প্রযুক্তির আওতা থেকে বাদ রাখা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) পাঠানো নির্দেশিকায় বলেছে, বিমানবন্দর এবং সংলগ্ন এলাকায় ৫জি পরিষেবা সার্বিকরূপে চালু করা যাবে না। কারণ বিমান চলাচলের বর্তমান সিগন্যালিং ব্যবস্থায় চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে ৫জি ব্যান্ড।
ভারতের অন্য সব জায়গায় চালু হলেও বিমানবন্দরের আশপাশে থাকা বাড়ি, হোটেল, বিভিন্ন অফিসে মিলবে না ৫জি নেটওয়ার্ক। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই ও চেন্নাইয়ের মতো বহু শহরেই বিমানবন্দর সংলগ্ন জনবসতিপূর্ণ এলাকা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ৫জি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে কয়েক লাখ মানুষ।
বিমানের যাত্রাপথ নির্দেশিকার প্রধান মাধ্যম রেডিও অল্টিমিটার এবং জিপিএস ব্যবস্থা। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন এসেছে, ওই অল্টিমিটার এবং ৫জি নেটওয়ার্কের ব্যান্ড প্রায় কাছাকাছি। সে ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এতে বিমান চলাচলের পরিকাঠামো ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে পাল্টা যুক্তি দিয়েছে ভারতীয় টেলিকম সংস্থাগুলোও। তাদের দাবি, বিমান চলাচলের অল্টিমিটার যে ব্যান্ডে কার্যকর, সেটি হলো ৪ দশমিক ৫ গিগাহার্জ। আর ৫জি নেটওয়ার্ক চলবে ৩ দশমিক ৩ থেকে ৩ দশমিক ৭ গিগাহার্জে। তাই অন্তত ৫০০ মেগাহার্জের পার্থক্য থাকবে। কোনোভাবেই দুই ব্যান্ডের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা নেই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন