বাফুফে সম্পাদকসহ তিন কর্মকর্তাকে ফিফার নোটিশ

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর সমালোচনা যেন থামছেই না। কিছুদিন আগে কোচ জেমি ডের অভিযোগের ভিত্তিতে বাফুফেকে জরিমানা করেছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। এবার আর্থিক অনিয়মের দায়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ও দুই অর্থ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ফিফা।

অনুদানের অর্থ দিয়ে কেনাকাটায় গরমিল পেয়েছে ফিফা। বাফুফে কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রেখে অন্য খাতে ব্যবহারের অভিযোগও আছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অর্থ সহকারী অনুপম সরকারকে দেয়া হয়েছে এই নোটিশ। ফিফার বাৎসরিক অনুদান স্থগিত করার ঘটনা ঘটেছিল গত বছরই। সেই ঘটনার রেশ ধরে বাফুফের ক্রয়-প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ফিফার ক্রয়নীতি বলছে, যে কোনো কিছু কিনতে হলে নিতে হবে অন্তত তিনটি দরপত্র। সর্বনিম্ন দরদাতা পাবে কাজ। বাফুফেও সেটাই করেছে। কিন্তু ক্রয় রশিদসহ বাকি দুই কোটেশনে গরমিল পেয়েছে ফিফার অডিট দল।

এর আগে সাবেক কোচ জেমি ডের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গ করায় বাফুফেকে জরিমানা করেছিল ফিফা। এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ দলের সাবেক প্রধান কোচ জেমি ডে তার বেতন-ভাতা সম্পর্কিত বিষয়ে ফিফার নিকট আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফিফা কর্তৃক বাফুফেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা প্রদানের কথা বলা হয়েছে।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ ছিলেন জেমি ডে। সাফল্যের দিক দিয়ে যিনি এগিয়ে ছিলেন অতীতের অনেক কোচ থেকে। চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি ছিল বাফুফের। কিন্তু গেল বছর অক্টোবরে হঠাৎই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় জেমিকে। তার দাবি অনুযায়ী আগস্ট পর্যন্ত বেতন পাওয়ার চুক্তি ছিল বাফুফের সঙ্গে। কিন্তু হঠাৎ করেই তার বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর কয়েক মাস ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে গেছেন জেমি ডে। বাফুফেও তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছে ফিফার কাছে। কিন্তু সেটি পছন্দ হয়নি ফিফার। ফলে বাফুফেকে জরিমানা করে ফিফা। রায় পাওয়ার পর জেমি ডে বলেছিলেন তিনি সুবিচার পেয়েছেন। অতীতেও বাংলাদেশের বেশ কিছু কোচের দায়িত্ব ছাড়ার প্রক্রিয়াটা সুখকর হয়নি। এর আগেও কয়েকবার ফিফার জরিমানার কবলে পড়েছিল বাফুফে।

LEAVE A REPLY