কারণ দর্শানো ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক কর্মচারীকে অপসারণ করা সংক্রান্ত বিধি বাতিলের বিরুদ্ধে সংস্থাটির আপিল শুনানি পিছিয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির তারিখ রেখেছেন। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিনের লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানিও ওই দিন রাখা হয়েছে।
দুদক (কর্মচারী) চাকরিবিধিমালার ৫৪ (২) বিধি ও চাকরিচ্যুতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানি মুলতবি করে গত বছর ১১ এপ্রিল আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছিলেন শরীফ।
আদালতে শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরিবিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুসারে মো. আহসান আলী নামের দুদকের এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। তিনিও ৫৪ (২) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন। সে রিটে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর এ বিধি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে, যা ২০১৬ সালের নভেম্বরে খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে পরের বছর দুদক পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে। এর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দুদককে আপিল করার অনুমতি দেন। আর এই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। পরে দুদক আপিল করে।
এদিকে গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফকে চাকরি থেকে অপসারণ করলে তিনিও দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি ও চাকরিচ্যুতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ১১ এপ্রিল তা শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু তখন পর্যন্ত মো. আহসান আলীর মামলায় দুদকের দুদকের রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়ায় শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এ মুলতবি আদেশের বিরুদ্ধে গত বছর ১৬ জুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন শরীফ। মঙ্গলবার শরীফের সেই লিভ টু আপিল ও দুদকের আপিল শুনানির জন্য একসঙ্গে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় উঠলে সর্বোচ্চ আদালত শুনানি পিছিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখ রাখেন।