একদিনের জন্য গাল্ফ অয়েল বাংলাদেশ লি. এর সিইও হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করলেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই ক্রিকেট তারকা নতুন বছরের চমক হিসেবে মনে করছেন তার এই নতুন দায়িত্ব পালনের অধ্যায়কে। ৩৫ বছর বয়সে তিনি যেমন মাঠে অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তেমনি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কার্যকরভাবে তিনি নানা পরামর্শ ও দিক নির্দেশনার মাধ্যমে তার দক্ষতা দেখিয়েছেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) গাল্ফ অয়েল বাংলাদেশ লি. এর একদিনের জন্য সিইও হিসেবে যোগদান করেন। এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠানের একাধিক মিটিং এ অংশ নেন এবং প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ডকে আরো বেশি মানুষের দৌড়গড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। সাকিব ২০১৯ সালে গাল্ফ অয়েল বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যাত্রা শুরু করেন।

বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়ক সাকিব বলেন, “আমি সবসময় বুঝতে চেয়েছিলাম একজন কর্পোরেট সিইও কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে এমএনসি ব্যবসা পরিচালিত হয়। তাই গাল্ফ অয়েল এর সাথে এই সুযোগ পেয়েই আমি হ্যাঁ বলে দিলাম। একটি ব্যবসা গড়ে তুলতে এবং উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক কিছু রয়েছে। ব্যবসা ও ব্র্যান্ডের মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে, সিইও-এর কাঁধে অনেক চাপ থাকে। সিইও হিসেবে ক্রেতা, পণ্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সম্মন্নয় করা কাজটা এত সহজ মনে হয়নি। তবে এটি একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা ছিল এবং আমি অনেক কিছু শিখেছি যা আমি ভবিষ্যতে মাঠে এবং মাঠের বাইরে ব্যবহার করব।
গাল্ফ অয়েল বাংলাদেশ এর সিইও, অম্লান মিত্র বলেন, “সাকিব ব্যাবসায়িক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়ায় এটি একটি আনন্দদায়ক দিন ছিল। তিনি যখন তাদের নতুন সিইও হিসাবে পদ গ্রহন করেছিলেন তখন কর্মচারীরা অবাক হয়েছিলেন। তার শক্তি দৃশ্যমান এবং বিস্তর ছিল, আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারী, অংশীদার এবং সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে একই মনোভাব প্রত্যক্ষ করেছি। সাকিব বিভিন্ন বোর্ড মিটিং এবং ব্যাক্তিগত ব্যস্ততার মধ্যে সমন্নয় করে পুরো দিনটি সত্যিই ভালভাবে পরিচালনা করেছেন। বরাবরের মতো, তিনি একজন সিইও হিসেবে ভালো ব্যাটিং করেছেন এবং দলকে অনুসরণ করার জন্য একটি নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছেন।”
গাল্ফ অয়েল ইন্টারন্যাশনাল.
গাল্ফ অয়েল ইন্টারন্যাশনাল (গাল্ফ), সম্পূর্ণরুপে হিন্দুজা গ্রুপের মালিকানাধীন, বৃহত্তম ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ডাউনস্ট্রিম কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি, যার উপস্থিতি বিশ্বব্যাপী ১০০টিরও বেশি দেশে রয়েছে। ১৯০১ সাল থেকে শুরু হওয়া, গাল্ফ অয়েল এর ইতিহাস হল উদ্ভাবনের, একটি অগ্রগামী মনোভাব যা আজও ব্র্যান্ডটিকে দিক নির্দেশ করে। গাল্ফ অয়েল এর মূল ব্যবসা হল বিস্তৃত পরিসরের পারফরম্যান্স লুব্রিকেন্ট এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাজারের বিভিন্ন পরিসরে উৎপাদন ও বিপণন। গাল্ফ সারা বিশ্বে জাতীয় জ্বালানি খুচরা নেটওর্য়াকের লাইসেন্স দেয় এবং বর্তমানে ১,৪০০টিরও বেশি স্টেশনসহ ২৬টি দেশে উপস্থিত রয়েছে। ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে গাল্ফ অয়েলের একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি রয়েছে। গাল্ফ অয়েলের ব্যবসার মধ্যে গাল্ফ অয়েল মেরিনও রয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী ১,১০০টি বন্দর জুড়ে গ্লোবাল শিপিং শিল্পে লুব্রিকেন্ট সরবরাহ করে।কেএইচ
আরও পড়ুন