লতা পাতা সেদ্ধ করে রঙ মিশিয়ে বানানো হতো ইউনানি ওষুধ!

পাবনায় জয় ল্যাবরেটরিজ ইউনানি নামের একটি নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে কারখানা মালিক আলী আজমকে (৪৫) এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আলী আজম পাবনা পৌর সদরের শালগাড়িয়া মহল্লার মৃত আলী আকবর এর ছেলে।

জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার জালালপুর এলাকায় জয় ল্যাবরেটরিজ ইউনানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল ও নকল ওষুধ উৎপাদন করে আসছিল। তাদের কারখানায় কোনো কেমিস্ট নেই। কারখানার বর্তমান মালিকের বাবা যখন কারখানা পরিচালনা করতেন তখন সেখানে অষ্টম শ্রেণি পাশ একজন কথিত কেমিস্ট ছিলেন।

কারখানায় বিভিন্ন গাছের লতাপাতা সেদ্ধ করে তাতে বিভিন্ন রাসায়নিক ও রং ব্যবহার করে কথিত ইউনানি ওষুধ উৎপাদিত হয়ে আসছিল। সেগুলো বাহারি রঙের মোড়কে পাবনা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিপণন করা হত।

র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে সূত্র জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল শুক্রবার ভোররাতে ওষুধ কোম্পানির জালালপুর হেড অফিসে অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান ও সহকারী পুলিশ সুপার কিশোর রায়। এ সময় বিপুল পরিমাণ নকল ও ভেজাল ওষুধ জব্দ কর হয়।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন ধরে নকল ইউনানি ওষুধ উৎপাদন করা হচ্ছিল।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY