অজয় দাশগুপ্ত। কলামিস্ট, ছড়াকার এবং প্রাবন্ধিক। দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক শহর সিডনিতে। দেশে বিদেশের নামকরা সব পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। তাঁর সব লেখালেখি যদি গ্রন্থিত হতো তবে থাকতো অসংখ্য বই। তবু আমরা পেয়েছি তাঁর রচিত ‘ নারীর হৃদয় সবখানি’, ‘কৃঞ্চ সংস্কৃতির উত্থান পর্বে’; ‘ছড়ায় গড়ায় ইতিহাস’; ‘শুধু ছড়া পঞ্চাশ’; ‘কলামগুচ্ছ’; ‘কালো অক্ষরে রক্তাভ তুমি’; ‘তৃতীয় বাংলার চোখে’ সহ মূল্যবান কয়েকটি গ্রন্থ। আজ ১০ জানুয়ারি আমাদের পরম শুভার্থী অজয় দাশগুপ্তের জন্মদিন।
আজ তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে সিডনির ছোট্ট বাংলাদেশ খ্যাত লাকেম্বায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । সিডনি বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা গামা আব্দুল কাদির আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে উদযাপন করবেন অজয় দাশগুপ্তের জন্মদিনের উৎসব ।
২০১৬ সালে শুরু হওয়া প্রশান্ত পাড়ের বাঙলা কাগজ ‘প্রশান্তিকা’ নামটিও দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়- প্রশান্তিকার নানাবিধ কর্মকাণ্ড, প্রকাশনা এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পরামর্শ দিয়ে তিনি আমাদের পাশে থেকেছেন।
লেখালেখির মতই প্রাঞ্জল তাঁর কথা বলা। কখনও কখনও কন্ঠে গানও তোলেন তিনি। বাংলাদেশের নামকরা কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি নিয়মিত টকশোতে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
অজয় দাশগুপ্তের প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৭১ সালে দৈনিক পয়গাম পত্রিকার শিশুদের পাতায়। পরের সপ্তাহেই ছাপা হয় “প্রথম লেখার আনন্দ” নামে ছোট একটি গদ্য। লেখালেখি অনেক করলেও তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তেমন নয় এই প্রসঙ্গে অজয় দাশগুপ্ত বলেন, “ আমার খুব বেশী বই নাই। যখন তখন হাতে পায়ে ধরে বই বের করা আমার দ্বারা সম্ভব ছিলো না। তবে এখন বেরুচ্ছে বেশ কয়েকটি বই প্রকাশকদের আগ্রহের কারণেই ।”
স্ত্রী দীপা ও সন্তান অর্ককে নিয়ে তিনি বাস করছেন সিডনিতে। তাঁর একমাত্র সন্তান অর্ক দাশ বলিউড, হলিউড এবং অস্ট্রেলিয়ার মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় কাজ করছেন। তিনি অষ্ট্রেলিয়ার মূলধারা মিডিয়ায় অভিনয় করেন। মঞ্চে অভিনয়ের পরে তিনি অভিনয় করছেন টিভি সিরিয়াল ও সিনেমায়। এদেশের বড় বড় ব্যাংক সহ নানা প্রতিষ্ঠান সহ রপ্তানী বানিজ্যের স্তম্ভ ভেড়ার মাংসের বিজ্ঞাপনে তিনি ছিলেন মূল ভূমিকায়। এখন অর্ক ছবি নির্দেশনা, চিত্রনাট্য লেখা ও ছবির গল্প লেখেন। সম্প্রতি তার ছবি ‘খানা খাজনা’ সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতার পুরষ্কার পেয়েছে। তিনি ডিজনি মুভি ‘মুলান’ এ অভিনয় করেছেন।
অজয় দাশগুপ্তের প্রিয় লেখক যেমন রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ কিংবা সৈয়দ মুজতবা আলী তেমনি কাল যে মানুষ নতুন কিছু লিখে চমকে দিয়েছেন তিনিও প্রিয় লেখক। তিনি বলেন, উপনিষদ, রবীন্দ্রনাথের গান আর জীবনানন্দের কবিতা সাথে ওমর খৈয়াম, জীবনে জীবন সায়াহ্নে বা শেষকালেও এই চাই।
অজয় দাশগুপ্তের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায়।