জিদানকে অপমান: পদ হারালেন ফ্রান্স ফুটবল প্রধান

    ফাইল ছবি

    জিনোদিন জিদানকে অপমানের পর আলোচনায় আসা ফরাসি ফুটবলের প্রেসিডেন্ট য়েল লে গ্রেতকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

    বুধবার (১১ জানুয়ারি) এফএফএফের নির্বাহী কমিটির জরুরি সভার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে। অন্যদিকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ভাইস-চেয়ারম্যান ফিলিপ দিয়ালোকে। খবর স্কাই স্পোর্টসের।

    পাশাপাশি, জিদানকে নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করে এবার ক্ষমা প্রার্থনাকারী নোয়েল লে গ্রেতের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগও রয়েছে। যদিও সেটা অস্বীকার করেছেন তিনি। মূলত জিদানকে নিয়ে অপমানসূচক মন্তব্য করেই গত কয়েকদিনে ভীষণ চাপে পড়েন লা গ্রায়েত। তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন খেলোয়াড় থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরাও।

    ঘটনার সূত্রপাত কাতার বিশ্বকাপের শেষে। ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাজে টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে ফ্রান্স। বর্তমান কোচ দিদিয়ের দেশমের ভবিষ্যত নিয়েও দেখা দেয় শঙ্কা। শোনা যাচ্ছিল দেশমের পরিবর্তে ফ্রান্স দলের দায়িত্বে আসতে পারেন জিদান। ফরাসি এই কিংবদন্তি নিজেও জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।

    তবে নোয়েল লে গ্রেত বলেছেন, ‘কোচ হিসেবে জিদানের নাম আলোচনায় ছিলো সবসময়। কারণ তার অনুসারীরা দেশমের অব্যহতির অপেক্ষা করছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কেউ কি দেশমকে সমালোচনা করতে পারবেন? কেউ পারবেন না! কারণ দেশমকে নিয়ে বড় কোনো সমস্যাই নেই।’ নোয়েল আরও বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে আমি ভাবছি না। জিদান যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে পারেন। সেটা যেকোনো ক্লাব কিংবা জাতীয় দল হতে পারে। তাকে নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’

    কিংবদন্তি জিদানকে নিয়ে করা এমন তাচ্ছিল্যভরা মন্তব্য সহজভাবে নিতে পারেননি তরুণ ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। টুইটারে তিনি প্রতিবাদ করেছেন, ‘জিদান মানেই ফ্রান্স। তার মতো কিংবদন্তিকে এভাবে অসম্মান করা মোটেও কাম্য নয়।’ এরকম আরো অনেকের সমালোচনার মুখে পড়েই ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য হন ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের এই প্রেসিডেন্ট।

    ডি- এইচএ 

    LEAVE A REPLY