বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘এনজিওদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন অ্যাডাবের চেয়ারপারসন আব্দুল মতিন। ছবি: ভোরের কাগজ
নতুন নতুন আইন করে এনজিওদের কার্যক্রম বাধাগ্রাস্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর (এনজিও) সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডাব। তারা বলছে, অনেকেই চায় না এনজিওগুলো বিকশিত হোক। নতুন নতুন আইন করে ও নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করে কার্যক্রম থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে অনেক এনজিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা অনেকেই কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। ফলে দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার অগ্রপথিক হওয়া সত্ত্বেও সংকটের মুখে পড়েছে এই খাত। পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা চান তারা।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘এনজিওদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। বৈঠকে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৩৫ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ (অ্যাডাব) আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারপারসন আব্দুল মতিন।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে এনজিওদের ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। বর্তমানে দেশের বাজারে এনজিওদের মাধ্যমে এক লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকার প্রবাহ রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পরেও নানাভাবে এনজিওদের কার্যক্রমের স্বীকৃতি নাই। অথবা বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত এনজিওর প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিদেশ থেকে নিজ উদ্যোগে ফান্ড ম্যানেজ করে স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করে। কিন্তু দেখা যায় সমাজসেবা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে অসহযোগিতা, অনিয়ম ও ঘুষ-দুর্নীতির কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না তারা।
তারা আরো অভিযোগ করেন, এনজিওদের সহযোগিতার জন্য দেশে তিনটি প্রতিষ্ঠান আছে- সমাজসেবা অধিদপ্তর, এনজিও ব্যুরো ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি। কিন্তু এসব সংস্থার মধ্যেও আছে সমন্বয়ের অভাব। অ্যাডাব তাদের সঙ্গে বারবার বসতে চাইলেও কেউ রাজি হচ্ছে না। ফলে সরকারের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অ্যাডাব সদস্যরা।