বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরি বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট, দুর্নীতি-অনিয়মের যে চিত্র ধরা পড়ছে তাতে সহজেই অনুমেয় যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকিতে শৈথিল্য বা সুশাসনের অভাব রয়েছে। নির্বাচনী বছরে ব্যাংকখাতের সুশাসনে শৈথিল্য দেখালে চলবে না। কারণ আমরা ইতোমধ্যে বৈশ্বিক একটি বড় সংকটের মধ্যে আছি। ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
মুস্তাফা কে মুজেরি বলেন, নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে সামগ্রিক অর্থনীতি। চলতি বছরেও আরো কিছু চ্যালেঞ্জ ঘনীভূত হতে পারে। নতুন বছরে আরো কিছু চ্যালেঞ্জ ঘনীভূত হতে পারে যা বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম মূল্যস্ফীতি। আমাদের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানিতে বিশেষ করে খাদ্যপণ্য, ভোজ্যতেল, জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি ও মূল্য ওঠা-নামা করার কারণে আমদানি খরচ বাড়ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ বাড়ছে। আমদানি ব্যয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য রপ্তানি ও রেমিট্যান্স যেভাবে আসা দরকার সেভাবে বাড়ছে না।
তিনি বলেন, মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী সংকট চলছে। আমাদের দেশে তেল ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে। টাকার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এরপরেও সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতির মাধ্যমে সংকট খুব একটা কন্ট্রোলে রাখতে পারছে না। তাই ব্যাংকের সুশাসন বাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এমন পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুড গভর্নেন্স বাড়াতে হবে তেমনি ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদহারও বাড়াতে পারে। এজন্য ঋণের সুদহারের সীমাও তুলে দেয়া যেতে পারে। সুদহার বেধে দিয়ে কোনো দেশের অর্থনীতি বেশি দূর এগোতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এমক৯