তামিমের প্রথম ফিফটি, মাহমুদুলের ঘুমপাড়ানি ব্যাটিং, খুলনার বড় জয়

ফাইল ছবি : মীর ফরিদ

টার্গেট কম, তাই রান তাড়ায় নেমে খুব একটা চাপ ছিল না খুলনা টাইগার্সের ব্যাটারদের ওপর। ওপেনার তামিম ইকবাল অপরাজিত ফিফটি করেছেন। তার সঙ্গী তিনে নামা মাহমুদুল ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু তার স্ট্রাইকরেট রীতিমতো বিব্রতকর! এর পরও রংপুর রাইডার্সের মামুলি স্কোর তাড়া করে খুলনা জয় পেয়েছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৩০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪১ রানের জুটি  উপহার দেন খুলনার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং মুনিম শাহরিয়ার। ২১ বলে ২১ রান করা মুনিম আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর তামিমের সঙ্গী হন মাহমুদুল হাসান জয়। দুজনে গড়েন ৯০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। তামিম ৩৫ বলে চলতি আসরে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৬০ রানে। অন্য প্রান্তে মাহমুদুল রানই নিতে পারছিলেন না! একপর্যায়ে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ৬০। শেষদিকে দুটি চার এবং ১টি ছক্কা মেরে স্ট্রাইকরেটকে নব্বইয়ের ঘরে নিয়ে যান তিনি। অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৩৮ রানে। ১০ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জিতে যায় খুলনা।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়াহাব রিয়াজ ও আমাদ বাটের বোলিং তোপে ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন রনি তালুকদার। সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা নাঈম শেখও। ৯ বলে ১৩ রান করেন তিনি। ওপেনার পারভেজ ইমন ও চারে নামা শেখ মেহেদী হাসান চেষ্টা করেন দলকে টেনে তুলতে। ২৪ বলে ২৫ রান করেন ইমন, ৩৪ বলে ৩৮ রান করেন মেহেদী। শোয়েব মালিকের ব্যাটও আজ হাসেনি। ১৪ বলে ৯ রান করতে পেরেছেন রাইডার্স দলপতি। রাকিবুল হাসানের ১২ ও আজমতউল্লার ৯ রানের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ১২৯ রান করতে সমর্থ হয় দলটি। খুলনার পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আরেক পাকিস্তানি আমাদ বাট।

LEAVE A REPLY