ঢাকা ফিল্ম ফেস্টে চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের ২৫ সিনেমা

এবারের ঢাকা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ এই স্লোগান নিয়ে। এ উৎসব চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। ৯ দিনের এ উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, শিশুতোষ চলচ্চিত্র, স্পিরিচুয়াল, উইমেন্স ফিল্মমেকার, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র বিভাগে ৭১টি দেশের ২৫২টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে।

উৎসবে ১২৯টি পূর্ণ-দৈর্ঘ্যের ফিচার ফিল্ম এবং ১২৩টি স্বল্প-দৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন ৫টি ভেন্যুতে দেখানো হচ্ছে ১২৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ১২৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ৮১টি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র।

বাংলাদেশি এই ৮১ টি সিনেমার মধ্যে ২৫টি সিনেমার নির্মাতারা সাবেক ও বর্তমান চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি, ইউল্যাব ১টি, বিসিটিআই এর ৪টি চলচ্চিত্র।

ছবি: ভোরের কাগজ

চলচ্চিত্রগুলো যথাক্রমে, ঢাবি- দূরে (মিতালী রায়), ইন এক্সপিডেশন টু হ্যাপিনেস (জায়েদ সিদ্দিকী), ক্যারেক্টর আর্টিস্ট (সিফাত রহমান); জবি- কৃষ্ণপক্ষ (মৃত্তিকা রাশেদ), পুরস্কার (আদনান মাহমুদ সৈকত), অংক সরল ফলাফল শূন্য (শাহ সাকিব সোবহান), টাইপ (সাকিব হোসেইন), সারভাইব উইথ ট্রাফিক জ্যাম (জাকির হাসান অনিক), দ্য ডোর (শাহরিয়ার খান), না পাক (রাগিব শাহরিয়ার), স্বপ্নের ফেরিওয়ালা (সাব্বির আহমেদ সোহাগ), এঙ্গার (সৌরভ কামাল চৌধুরী) ; নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের- শুড আই কিল মাইসেল্ফ অর হ্যাব অ্যা কাপ অব কফি? (নাজমুল হাসান সানি), হিলিয়াম মাঙ্কি বেলুন (গোলাম মুনতাকিম), হায় হোসেইন (এবি মামুন,পার্বন মাজহার, রিজওয়ান রক্তিম), যায় যায় দিন (আহসাবুল ইয়ামিন), যাত্রা বিরতি (ইমন বিন আনোয়ার), স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়- উড়াল (তৌহিদুল ইসলাম নাদিম), বিফোর রেইন (তিহান খান), স্ট্যাম্প (আলিফ মোহাম্মদ) ; ইউল্যাব- কুয়োর ব্যাঙ (বিধান চন্দ্র দাস), বিসিটিআই- মৃত্যুঞ্জয়ী (উজ্জ্বল কুমার), দ্য লক্ষ্মণ দাস সার্কাস (ঝুমুর আসমা জুঁই), মানুষী (অম্লান বড়ুয়া), গ্রহগ্রস্থ (জগন্ময় পাল)।

ছবি: ভোরের কাগজ

চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত এসব চলচ্চিত্র সম্পর্কে বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাদমান শিহির জানান, ‘এ বছর বেশ ভালো সংখ্যক ফিল্ম সাবেক ও বর্তমান চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের নির্মাণ করা, চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব চলচ্চিত্র নির্মাণ করে, প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তারা পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো ভালো ও বেশি সংখ্যক ফিল্ম নির্মাণ করতে পারবে। চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীরা এখন বেশ ভালো কাজ করছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে যে একটা পরিবর্তন আসছে তার অন্যতম সৈনিক এসব শিক্ষার্থীরা। আমাদের আরো বেশি বেশি ফিল্ম বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান চালু করা জরুরি পাশাপাশি বর্তমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীদের ফিল্ম নির্মাণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে, কেবল তখনই এই নির্মাণের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীরা আরো ভালো চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দিতে পারবে। আপনারা সবাই উৎসবে আসুন এবং আমাদের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রগুলো উপভোগ করুন। চলচ্চিত্রের জয় হোক।কেএইচ

LEAVE A REPLY