জোর করে ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’: ‘পঙ্গু হচ্ছি’, তসলিমার মন্তব্য

হাসপাতালের বিছানায় তসলিমা নাসরিন। ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ইস্যুতে আলোচনায় থাকেন তসলিমা নাসরিন। মন্তব্যের জন্য প্রায়ই সংবাদপত্রের শিরোনামে বিশেষ স্থান অধিকার করে নেন। তবে এবার স্রেফ ব্যক্তিজীবন নিয়েই শিরোনামে এলেন বিতর্কিত এই লেখিকা।

বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তসলিমা নাসরিন। কিন্তু কেন হাসপাতালে, এখন কেমন আছেন তিনি- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই প্রশ্ন তুলেছেন। অবশেষে সেই বিষয়ে সরব হলেন ‘লজ্জা’ উপন্যাসের এই লেখিকা। পাশাপাশি, চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন এই লেখিকা।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে তসলিমা নাসরিন বলেন, ভুল চিকিৎসার কারণে পঙ্গু হতে চলেছি। আমাকে না জানিয়ে চিকিৎসক ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’ করেছেন। এই কারণে হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি।

আলোচিত এই লেখিকা আরো বলেন, ঘরে পাজামা চপ্পলে আটকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেছিলাম। চিকিৎসার জন্য তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ছুটে যাই। জানতে পারি, পায়ের ফিমার নামক হাড়ে চিড় ধরেছে। চিকিৎসার জন্য দুটো অপশন দেয়া হয়। একটি ‘ইন্টারনাল ফিক্সেশন’, অপরটি ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’। আমি প্রথমটির পক্ষে সম্মতি জানালেও আমাকে ‘হিপ রিপ্লেসমেন্টে’র পক্ষে জোরাজুরি করছিলেন চিকিৎসকরা। পরে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে ফিক্সেশনের কথা হলেও শেষ পর্যন্ত ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’ করা হয়। এর জন্য অবশ্য অনেকটা বাধ্য করিয়েই রাজি করানো হয় আমাকে।

তার ভাষ্য অনুযায়ী, যারা প্রায় একেবারেই অর্থব, তাদের এই ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’ করা হয়। শরীরচর্চা করা একজন সচল মানুষ তিনি, তাকে কেন এভাবে চিরতরে পঙ্গু বানিয়ে দেয়া হলো? অভিযোগ, প্রাইভেট হাসপাতালে টার্গেট মার্কেটের শিকার হয়েছেন তিনি।

এছাড়া, অন্য একটি পোস্টে মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকে যাওয়ার কথাও বলেছেন তসলিমা নাসরিন। তার কথায়, হাসপাতালের এক চিকিৎসককে বন্ধু ভেবে ভুল করেছেন তিনি। ওই চিকিৎসকই ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠিয়েছিলেন। আর কী কী কারণে ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’ হয় সেসবও উল্লেখ করেছেন লেখিকা। যার কোনো উপসর্গই নেই তার মধ্যে। চিকিৎসার জন্য গিয়ে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, তসলিমার এসব পোস্টে অনেকেই আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তাকে।ডি- এইচএশেয়ার করুন

LEAVE A REPLY