উইঘুরদের নিয়ে এ কেমন রিপোর্ট দিল ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটিস কাউন্সিল?

সম্প্রতি চীনের জিনজিয়াঙে উইঘুর মুসলিমদের জীবনযাপন পরিদর্শন করেছে ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটিস কাউন্সিলের ৩০ জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কলার আলি রশিদ আল নাউমি।

অবাক করার বিষয় হলো তারা উইঘুরদের পরিদর্শন শেষে মন্তব্য করেছেন- ‘জিনজিয়াঙের উইঘুর মুসলিমরা বেশ ভালো আছেন। ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে তাদের কোনো বাধা নেই। তারা বেশ ভালোভাবে ধর্ম উপভোগ করছেন।’

আল নাউমি মন্তব্য করেছেন- ‘চীনের সংস্কৃতিতে মুসলিম বা ইসলামকে কেন্দ্র করে কোনো অসৎ উদ্দেশ্যই নেই।’
অথচ যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ) বলছে, পূর্ব তুর্কিস্তানে ধর্ম পালনে কোনো স্বাধীনতাই নেই উইঘুরদের। তাদের ওপর অবিরতভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে যাচ্ছে চীন সরকার। 

মূলত ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি কাউন্সিলের হয়ে যেসব আলেম ও ব্যক্তিরা চীনে এ সফরে অংশ নিয়েছেন তারা সবাই উইঘুর হত্যাযজ্ঞ এবং উইঘুরে মানবাধিকার লঙ্ঘন স্বীকার করেন না। আর এ কারণেই তারা চীনের পক্ষে এমন মন্তব্য করতে পেরেছে এবং উইঘুরদের ওপর নির্যাতন ও নিষ্পেষণ তাদের চোখে পড়েনি। 

শার্লি এবদোর কার্টুনের প্রতিবাদে প্যারিসে হামলা হয়। ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। ম্যাগাজিনের আটজন কার্টুনিস্ট ও সাংবাদিকসহ মোট ১২ জনকে হত্যা করা হয়। সরগরম হয়ে যায় পুরো বিশ্ব। অথচ চীনে উইঘুরদের বেলায় কোনো প্রতিক্রিয়া নেই এসব ব্যক্তির। 

জিনজিয়াঙে উইঘুর নির্যাতনের বিষয়ে এ সংস্থার অবস্থান বেশ নিন্দনীয় এবং হৃদয়বিদারক। ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটিস কাউন্সিলের বিপক্ষে বিবৃতি দিয়েছে আরেকটি মুসলিম সংস্থা। জিনজিয়াঙ পরিদর্শনের পর তাদের বক্তব্য হতাশাব্যঞ্জক বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

কমিশন অব মুসলিম স্কলারস অ্যান্ড দ্য পারটিসিপেটিং অরগেনাইজেশনস জানিয়েছে, উইঘুর মুসলিমদের ব্যাপারে ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটিস কাউন্সিলের বিবৃতি সম্পূর্ণ অসত্য ও অগ্রহণযোগ্য। সংস্থাটির দাবি, চীনের জিনজিয়াঙে উইঘুরদের ওপর অমানবিক নির্যাতনে লিপ্ত চীন সরকার। 

ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটিস কাউন্সিলের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করে অপপ্রচার ও মিথ্যা প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা করছে চীন। 

(বিটার উইন্টার ম্যাগাজিন থেকে গালফিয়ে ওয়াই-এর নিবন্ধ থেকে অনুবাদকৃত) 

LEAVE A REPLY