গোপালগঞ্জে ভুল আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে হাসিবুর (৩৫) নামের এক রোগীর ভোগান্তিতে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী হাসিবুর মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের চরমানিকদাহ মধ্যপাড়া গ্রামের ধনা মৌলভীর ছেলে। সে গত ২০শে জানুয়ারি পেটে ব্যথাজনিত কারণে অসুস্থ হলে মিতা রহমান নামের এক ডাক্তার গোপালগঞ্জ শহরের নামকরা একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে কিডনিতে পানি জমার কথা বলেন। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করালে কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। জানা গেছে, ডাক্তার মিতা রহমান শহরে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টাকার বিনিময়ে তড়িঘড়ি করে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট করে মাঝে মধ্যেই ভুল করে আসছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এমবিবিএস ডাক্তার বলেন, গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্য দপ্তরের তদারকির অভাবে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একটির পর একটি অপচিকিৎসার ঘটনা ঘটে চলেছে। এতে করে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে প্রতারিত হচ্ছে। ভুক্তভোগী রোগী হাসিবুর সাংবাদিকদের জানিয়েছে ভুল আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের সূত্র ধরে তিনি এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে শারীরিক অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। দীর্ঘ এক সপ্তাহ ভুল ওষুধ সেবন করার কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ভুল ওষুধ সেবন করে ভয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ভুল আল্টাসনোগ্রাম রিপোর্টের বিষয়ে ডাক্তার মিতা রহমান সাংবাদিকদের কাছে জোড়া তালির ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের ভুল এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, একটি ভুল রিপোর্ট রোগীর জীবন হুমকিতে ফেলতে পারে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করছি।