স্ত্রী জোয়ানা সাঞ্জে সঙ্গে দানি আলভেজ
ধর্ষণের অভিযোগে কারাগারে আছেন ব্রাজিলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার দানি আলভেজ। কারাবন্দি অবস্থায় তাকে শুনতে হয়েছে একের পর এক দুঃসংবাদ। মেক্সিকান যে ক্লাবের হয়ে তিনি খেলতেন সে ক্লাব থেকে তাকে এ ঘটনার জেরে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে গুঞ্জন উঠে অন্য নারীর সঙ্গে জড়িত হওয়ার অভিযোগ আসার কারণে তার কাছে ডিভোর্স চাচ্ছেন স্ত্রী হোয়ানা স্যাঞ্জ। এ প্রসঙ্গে স্যাঞ্জ নিজেও বলেছিলেন একটি সাক্ষাৎকারে। তবে এ তথ্য মিথ্যা প্রমাণ করে কারাবন্দি স্বামীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
গত রবিবার বার্সেলোনার কারাগারে দানি আলভেজকে দেখতে গিয়েছিল হোয়ানা স্যাঞ্জ। আটক হওয়ার প্রায় ১৭ দিন পর স্বামীকে দেখতে গিয়েছেন তিনি। কারাগার থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। এই মুহূর্তে তাকে ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
গত বছরের শেষ দিকে শাশুড়ির অন্তোষ্টিক্রিয়ার উদ্দেশ্যে মেক্সিকো থেকে বার্সেলোনায় যান ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার। সেখানেই নতুন বছর উৎযাপনের উদ্দেশ্যে থেকে যান তিনি। ৩০ ডিসেম্বর একটি নাইট ক্লাবে গিয়ে তিনি কোনো সম্মতি ছাড়াই ২৩ বছর বয়সী এক নারী অন্তর্বাসে হাত দেন। তারকা ফুটবলারকে এমন কাজ করতে দেখে ঘাবড়ে যান সেই নারী। বিব্রত অবস্থায় নিজের বন্ধু ও নিরাপত্তা কর্মীদের ডাকাডাকি শুরু করলে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান আলভেজ। নতুন বছরের শুরুতে এমন নেতিবাচকভাবেই আলোচনায় এসেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সরাসরি অস্বীকার করেন তিনি। তার দাবি ছিল খুব কম সময়ের জন্য নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন তিনি এবং এমন কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। তার স্বীকারুক্তি না পেলেও কাতালান পুলিশ অভিযোগকারী নারীর বয়ান নিয়েছে। সবশেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত ২০ জানুয়ারি তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আলভেজ কারাবন্দি হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন স্যাঞ্জ। স্বামী এমন কাজ করতে পারে সেটি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। তাই পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ডিভোর্স চেয়েছিলেন দানি আলভেজের স্ত্রী। মূলত বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এর আগে দানি আলভেজের স্ত্রী স্যাঞ্জ এক বিবৃতিতে বলেছিলেন তার স্বামী যৌন নিপীড়নের মতো কাজ করতে পারে না। ওই বিবৃতি দেয়ার জন্য তার স্ত্রী অনুশোচনায় ভুগছেন। তিনি জানিয়েছেন তার স্বামীর আইনজীবীদের চাপে এমন বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। তবে সবশেষে স্বামীকে কারাগারে দেখতে যাওয়া জন্ম দিচ্ছে নতুন রহস্যের। প্রথমে তাকে বাঁচাতে বিবৃতি দেয়া, তারপর সাক্ষাৎকারে আলভেজের আইনজীবীকে নিয়ে মন্তব্য করা এবং শেষে আবার স্বামীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে সবাইকে বিব্রত করার জন্য তারও শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কারাবন্দি আালভেজ নিজের বক্তব্যের কারণে ফেঁসে যেতে পারেন। তার বক্তব্যের কারণেই বড় কোনো শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার। প্রথমে তিনি বলেছিলেন যে নারী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন তিনি সেই নারীকে চেনেন না। পরে নিজের বক্তব্যে পরিবর্তন এনে ব্রাজিলের ইতিহাসের সেরা এই রাইটব্যাক বলেছেন তিনি সেই নারীকে দেখেছেন। তবে তার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেননি। পরে তিনি তার বক্তব্য আবার পরিবর্তন করেন। সবশেষে তিনি বলেন সেই নারী নিজ থেকে তার কাছে এসেছিলেন। তিনি নিজ থেকে কিছু করেন নি। নিজের স্ববিরোধী বক্তব্যের কারণেই বড় শাস্তি হতে পারে তার।ডি- এইচএ