সরবরাহ কমেছে, তাই বেড়েছে জেট ফুয়েলের দাম

প্রতীকী ছবি

দীর্ঘদিন বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর বাড়তে শুরু করেছে চীনের ফ্লাইট সংখ্যা। জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসা ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার ৭০০ ফ্লাইট বেশি হচ্ছে। যে কারণে চীনে বেড়েছে জেট ফুয়েলের চাহিদা।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের জেট ফুয়েল শোধনাগারের ত্রুটির কারণে কমেছে সরবারহ। যার দরুণ চলতি মাসে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে জেট ফুয়েলের দাম। সিঙ্গাপুরের বাজারে গত দুই সপ্তাহে জেট ফুয়েলের দাম ১৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২২ ডলার ৩০ সেন্ট। ইউরোপে বিক্রি হচ্ছে ব্যারেল প্রতি ১১৫ ডলারে। একই সঙ্গে এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রেও বেড়েছে জেট ফুয়েলের দাম। বিশ্লেষক এবং শোধনাকারীরা বলছেন, জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধির এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। খবর ফিউচার নেট জিরোর।

২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ হয়েছে জেট ফুয়েলের চাহিদা। প্রতিদিন চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ব্যারেল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জেট ফুয়েল শোধনাগারের ত্রুটির কারণে সরবারহ কমেছে। এতেই উর্ধ্বমুখী জেট ফুয়েলের দাম।

এদিকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সমুদ্রবাহিত রাশিয়ান পরিশোধিত জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সংস্থাটির এমন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের পরিশোধিত জ্বালানির চাহিদা বাড়াবে। তবে চাহিদা পূরণে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেকে আহবান জানিয়েছে ইইউ।

১৯৯০ সালের পর গত বছর সর্বনিম্ন পরিশোধিত জ্বালানি রপ্তানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় প্রতিদিন তাদের রপ্তানিকৃত পরিশোধিত জ্বালানির পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল যা বছর শেষে তিন কোটি ৪০ লাখ ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে।ডি- এইচএ

LEAVE A REPLY