ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে যা বললেন এরদোগান

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান দেশটির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দক্ষিণাঞ্চল পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা আগামী এক বছরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি জেলা পুনর্গঠন করব। যেমনটা আগের ভূমিকম্পের সময় করা হয়েছিল। 

জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমরা কাউকে আশ্রয়হীন রাখব না। আমরা হোটেলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি, সেখানে আপনার থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি সহায়তার ঘোষণা দেন তিনি। 

দক্ষিণাঞ্চলে উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে যে বিলম্ব হয়েছে, সেটাও স্বীকার করেন তিনি। 

বুধবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা কাহরামানমারাস পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সব সামর্থ্যকে একত্র করেছি। মিউনিসিপ্যালগুলোর (পৌরসভা) মাধ্যমে, বিশেষ করে ডিজাস্টার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট প্রেসিডেন্সির মাধ্যমে কাজ করছে সরকার।’

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী বাব আল হাওয়া ক্রসিং দিয়ে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ৬টি ট্রাক প্রবেশ করেছে।

তুরস্কের স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানে। তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। 

চারদিকে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষ। ধ্বংসস্তূপে এখনো প্রাণের সন্ধানে জোরদার অভিযান চলছে। সময়ের সঙ্গে লড়াই করছেন উদ্ধারকর্মীরা। 

কারণ, সময় যত পার হচ্ছে, জীবিত মানুষ উদ্ধারের আশা ততই ফিকে হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত দুই দেশকে বিশ্বের অন্তত ৬০টি দেশের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। 

ভূমিকম্পের পর তুরস্ক-সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে উদ্ধারকারী দলসহ মানবিক সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘ, ইইউ, ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরাক, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সাহায্য পাঠিয়েছে।

ভূমিকম্প থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকজন দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য তারা নানা জায়গায় ছুটছেন। যাদের স্বজন এখনো ধ্বংসস্ত‚পের নিচে আটকা, তাদের অসহায়ত্ব সবচেয়ে বেশি। 

তাদের কেউ কেউ বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে স্বজনদের উদ্ধারের আকুতি তারা শুনতে পারছেন। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারছেন না। এছাড়া তাদের সাড়াশব্দও ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসছে।

LEAVE A REPLY