নেপালকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েদের উল্লাস

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে হিমালয় কন্যাদের জালে আরো একটি গোল গোল দেয় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। তাদের সামনে তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেনি নেপাল। শামসুন্নাররা প্রথম গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৪২ মিনিটে। গোল করেন শাহেদা আক্তার রিপা। এরপর নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র। আফিদার বাড়ানো বল নেপালী ডিফেন্ডাররা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। বাংলাদেশের অধিনায়ক সুযোগ সন্ধানী ফরোয়ার্ডের মতো বল পেয়েই জোরালো শটে গোল করেন।

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আজ সন্ধ্যা ৬টায় নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। এর আগে নেপালের মাটিতেই স্বাগতিকদের হারিয়ে সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। তাই এবার ঘরের মাঠে নতুন শিরোপার হাতছানি লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৩-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। আর শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয় শামসুন্নাহার বাহিনী। আর প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নেপাল। বাংলাদেশের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানকে হারায় ৪-০ গোলে। এরপর তৃতীয় ম্যাচে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। প্রথম ম্যাচে হারা নেপালই আবার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। তাই নিজেদের ফেবারিট মানছেন অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন, ‘নেপালও শক্তিশালী দল। তারা ভারতকে হারিয়েছে। আমরাও শক্তিশালী। ভালো একটা ফাইনাল হবে। সুযোগ আসবে দুই দলের সামনেই। যারা সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে, তারাই হাসবে শেষ হাসি।’

জাতীয় দলে খেলা দুই খেলোয়াড় অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র ও গোলরক্ষক রূপনা চাকমা বাংলাদেশ দলকে সাহস যোগাচ্ছেন। দুইজনই খেলছেন দুর্দান্ত। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র সম্ভব হয়েছিল রূপনা চাকমার দুর্দান্ত কয়েকটি সেভের কারণে। আর ভুটানকে ৫ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার কারিগর ছিলেন অধিনায়ক। তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন, গোল করিয়েছেন। দক্ষ দলনেতা হিসেবেই মাঠজুড়ে বিচরণ ছিল তার। তাই নেপালের বিপক্ষে ভালো খেলবে তার শিষ্যরা এ নিয়ে আশাবাদী তিনি।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে হিমালয় কন্যা নেপালের মেয়েদের মোকাবিলা করবে লাল-সবুজের বাংলাদেশের মেয়েরা। তিন ম্যাচের দুটি জিতে ও একটি ড্র করে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দল হিসেবেই ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। অন্যদিকে নেপাল তিন ম্যাচের দুটি জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করে। তবে প্রথম দল হিসেবে তারাই ফাইনালে পা রাখে।

LEAVE A REPLY