সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডেলিগেশন বিজনেস সামিটে অংশ নেবে বাংলাদেশ

সৌদি আরব বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র এবং দীর্ঘদিনের বৃহৎ ব্যবসায়িক ও উন্নয়ন সহযোগী। সৌদি আরবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বেকারি আইটেম, ভিজিটেবল, জুস জুটপণ্যসহ বেশ কিছু পণ্য রপ্তানি হয়। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক জনশক্তি সৌদি আরবে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশ সৌদি আরব থেকে, পেট্রোলিয়াম ওয়েলস, পেট্রোলিয়াম গ্যাস, ফার্টিলাইজার, খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ২৯০.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য সৌদি আরবে রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ১,৬৯৩.২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের অ্যাম্বাসেডর ইসা ইউসেফ ইসা আলদুহাইলানের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, কয়েকটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এগুলোতে আরও বেশি সৌদি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, বাংলাদেশ বিভিন্ন পণ্যের একটি বড় বাজার। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সরকার বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। আগামী মার্চ মাসে এফবিসিসিআইয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য ‘বিজনেস সামিট-২০২৩’ এ সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজেদ বিন আব্দুল্লাহ আলকাসাবি এর নেতৃত্বে একটি বড় ডেলিগেশন অংশগ্রহণ করবে।

সৌদি আরবের অ্যাম্বাসেডর ইসা ইউসেফ ইসা আলদুহাইলান এসময় বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবের বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগি। বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে সৌদিআরব বাংলাদেকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য “বিজনেস সামিট-২০২৩” সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজেদ বিন আব্দুল্লাহ আলকাসাবি এর নেতৃত্বে একটি বড় ডেলিগেশন অংশ গ্রহণ করবে।

এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে তার সঙ্গে ঢাকায় সফররত গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদৌ তানগারার নেতৃত্বে আগত ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিভিন্ন দিক নিয়ে মত বিনিময় করা হয়।

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলসের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় কানাডার হাই কমিশনার বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে ভোজ্য তেল কেলোনা ও কেলোনা বিজ রপ্তানির প্রস্তাব দেন। বাণিজ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে গুরুত্বসহকারে বিবেচনার কথা বলেন। তিনি বলেন, কানাডা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। কানাডার বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবানও জানিয়েছেন তিনি।ডি- এইচএ 

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY