শরীরচর্চার চাহিদা মেটাবে ব্রিস্ক ওয়াকিং

সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করার বিকল্প নেই। তাই রোগ না থাকলেও সুস্থতা ধরে রাখতে অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ দিন ব্যায়াম করা উচিত। সুস্থ দেহের জন্য ভারী ব্যায়াম করার দরকার নেই। প্রতিদিন দ্রুত হাঁটার মতো সহজ অভ্যাস স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সহায়তা করতে পারে। এ জন্য বেছে নিতে পারেন ব্রিস্ক ওয়াকিং, যা রোজকার শরীরচর্চার চাহিদাটুকু মেটাতে পারে। স্বাভাবিক হাঁটার চেয়ে কিছুটা দ্রুত গতিতে হাঁটাই ব্রিস্ক ওয়াকিং হিসেবে পরিচিত।

উপকারিতা

* রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে সঠিক ওজন বজায় রাখে।

* হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার, টাইপ ২ ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

* হাড় ও পেশি শক্তিশালী করে।

* মেজাজ, জ্ঞান, স্মৃতি ও ঘুমের যথেষ্ট উন্নতি ঘটায়।

* দেহের ভারসাম্য ঠিক রাখে।

* ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।

* মানসিক চাপ ও উত্তেজনা হ্রাস করে।

ব্রিস্ক ওয়াকিংয়ের নিয়ম

* হাঁটতে হবে একটু দ্রুত পায়ে। কমপক্ষে মিনিটে এক শ স্টেপ বা কদম ফেলতে হবে।

* মাথা উঁচু করে সামনের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে হবে, নিচুতে বা মাটিতে তাকিয়ে নয়।

* গা গরম করতে বা পেশিগুলোকে উষ্ণ করতে প্রথম ৫-১০ মিনিট আস্তে হাঁটুন। পেশিগুলোকে ঠাণ্ডা করতে শেষের দিকে হাঁটার মাত্রা কমিয়ে দিন।

* ঘাড়, কাঁধ ও পিঠ শিথিল রাখবেন, শক্তভাবে সোজা করে নয়।

* কনুইতে সামান্য বাঁকিয়ে অবাধে হাত দুলাতে হবে। পাম্প করার মতো বাহু দুটি উঁচু-নিচু করতে পারেন।

* পেটের পেশিগুলো কিছুটা শক্ত হবে। পিঠ সোজা থাকবে, সামনে বা পেছনে ঝুঁকবেন না।

* এমন ছন্দময়ভাবে পা ফেলবেন, যাতে গোড়ালি থেকে পা পর্যন্ত মাটির স্পর্শ পায়।

যা মনে রাখবেন

* দৌড়, জগিং, ফ্রি হ্যান্ড বা জিমে গিয়ে যাই হোক না কেন—সকালে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম পুরো দিনের ব্যায়ামের চাহিদা মেটায়। সারা দিনের কর্মক্ষমতা বজায় থাকে।

* শারীরিক সুস্থতা সুন্দর ব্যায়ামের অন্যতম একটি নিয়ামক। এ জন্য বয়স ও শরীরের ধরন বুঝে ব্যায়াম করা উচিত।

* স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য দৈনন্দিন কায়িক পরিশ্রম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিনের ঘরের কাজ আপনাকে শারীরিকভাবে সচল রাখলেও তা ব্যায়াম বা হাঁটার মতো উপকার এনে দেবে না।

মায়োক্লিনিক অবলম্বনে দাওয়াই ডেস্ক

LEAVE A REPLY