সংগৃহীত ছবি
বাজারে বিভিন্ন হেলথ ড্রিংকস বা প্রোটিন পাউডার পাওয়া যায়। যেগুলোর নামিদামি আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখে আমরা ভাবি, এগুলো হয়তো পুষ্টিগুণে ভরা। কিন্তু সেগুলোতে খুব সামান্য পুষ্টি মিললেও সেগুলো পানে হতে পারে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি বা বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। সেসব নামিদামি পাউডার বা পানীয় গ্রহণে কী কী সমস্যা হতে পারে, তা জেনে নেওয়া যাক।
* এই পানীয়গুলো প্রচুর পরিমাণে চিনি দিয়ে ভরা এবং এগুলোর বেশির ভাগই চকোলেট ফ্লেভারে হয়। পানিতে মিশিয়ে পান করলে আমাদের শরীরে অগোচরেই বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য এটি চরম ক্ষতির কারণ হতে পারে। যখন উচ্চ মাত্রার চিনি গ্রহণ করা হয়, তখন মুখের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, এতে পরে দাঁতের ক্ষয় হয় এবং ক্যাভিটি তৈরি করে।
* আমাদের দিনে সরল চিনির প্রয়োজন হয় সামান্য এবং অতিরিক্ত চিনি গ্রহণে আমাদের শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হয়। কার্বোহাইড্রেট ও গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয় এবং শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। আমাদের খাবারে অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, যা ইনসুলিনের কার্যকলাপকে কমিয়ে দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং ডায়াবেটিসের মতো বিপাকীয় ব্যাধির দিকে পরিচালিত করে। চিনি হার্টের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি এবং শরীরে একাধিক সমস্যার সৃষ্টি করে।
* যদিও এই পানীয়গুলো এর উচ্চ চিনির কারণে তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান দেয়, তবে এগুলো পরে আপনাকে অলস এবং অলস বোধ করাতে পারে। আপনি অন্যান্য প্রাকৃতিক খাদ্য উৎস থেকেও শক্তি পেতে পারেন, তাই এই জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
* এই জাতীয় পানীয় ও সাপ্লিমেন্টে প্রিজারভেটিভ থাকে, যা তাদের সামগ্রিক জীবনে বিরাট ক্ষতি করতে পারে। কৃত্রিম রংও যোগ করা হয়, যা স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
* ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব খাবারে প্রিজারভেটিভ ও কৃত্রিম রং থাকে, তা শিশুদের আচরণে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এটি স্মৃতিশক্তি লোপের কারণ হতে পারে।
* চিনি এবং সাধারণ স্টার্চ থেকে আসা ক্যালরি ‘খালি ক্যালরি’ আকারে থাকে। এই ধরনের ক্যালরি সামান্য বা কোনো পুষ্টি প্রদান করে না। তাই, ডায়াবেটিস, উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা, স্থূলতা এবং মেটাবলিক সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এই ধরনের পানীয় স্বাস্থ্যকর নয় এবং পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে বিবেচিত না।
পরামর্শ দিয়েছেন
পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ
ফরাজী হাসপাতাল, বারিধারা