ছবি: সংগৃহীত
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভৌগলিক অবস্থান কাছাকাছি থাকলেও ভারতের ট্রানজিট সমস্যার কারণে বাংলাদেশ-ভুটানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগুচ্ছে না। ইতোমধ্যে ভারতের সাথে ভুটানের একাধিক আলোচনা করে ট্রানজিট সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আমদানি রপ্তানি এগিয়ে নেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর সীমান্তের নাকুগাও স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিচেন কুইনস্টুল।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কাস্টমস কমিশনার (ঢাকা উত্তর) ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী, ভুটানের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের কমিশনার কেনচো থাইলো, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিচেন কুইনস্টুল বলেন, শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরসহ ময়মনসিংহের গোবরাকূড়া ও কড়ইতলী স্থলবন্দর দিয়ে ভুটান বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য নিতে চুক্তি করেছে বাংলাদেশের সাথে।
তিনি আরো বলেন, ভুটানের সাথে বাংলাদেশের কোনো বৈরিতা নেই। শুধু ভারতের সাথে ট্রানজিট চুক্তি অনুমোদন হলেই গার্মেন্টস পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য ভুটান আমদানি করতে পারবে।
কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ৩টি এলসি পয়েন্ট দিয়ে ভুটান-বাংলাদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করবে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার এলসি পয়েন্ট গুলো হলো নাকুগাও, গোবরাকুড়া ও করাইতলি। ভুটান বাংলাদেশে থেকে প্রধান পণ্য হিসেবে তৈরি পোশাক আমদানি করতে চায়। এর বিপরীতে পাথর, ফলসহ তাদের তৈরি পণ্য রফতানি করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী সর্বতভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যেন নির্বিঘ্নে এই কার্যক্রম করা যায়। ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। তবে তালিকাভুক্ত ১৯টি পণ্যের বাইরেও পর্যায়ক্রমে আরও পণ্য রপ্তানি বাড়বে।
পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রদূত কাষ্টমস হলরুমে স্থানীয় আমদানি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। পরে দুই দেশের মধ্যকার নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বাংলাদেশ থেকে ৩টি পণ্য আমদানি করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন। পণ্যগুলো হলো শুঁটকি মাছ, প্লাস্টিক পণ্য ও তৈরি পোশাক। এই বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদনও দেয়া হয়।কেএইচ