বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান সিকদারকে (২৮) পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান উপজেলা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে সভাপতি পদপ্রার্থী।
হামলার শিকার আহত ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসানের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার লক্ষীপুরার আকন বাড়ি খেয়াঘাট এলাকার একটি দোকানে একজন মেহমান নিয়ে চা পান করছিলেন মেহেদী হাসান। দোকানে তেমন লোকজন না থাকার সুযোগে বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকসহ ১০-১২ জন লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মেহেদীর ওপর হামলা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মেহেদীকে উদ্ধার করে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসকরা গুরতর জখম দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দু-পায়েরই রগই কেটে গেছে, প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। এখনো অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছেন মেহেদী। হয়তো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে পাঠাতে হতে পারে।
তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষপটে আমাকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে উৎখাত করার জন্যই একটি কুচক্রিমহল আমাকে নানা ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ফাঁসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। একের পর এক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেও ফাঁসানো হচ্ছে, অথচ এসব ঘটনার সঙ্গে আমার আদৌ কোনো ধরণের সম্পৃক্ততা নেই।
বেতাগী থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মেহেদীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বেতাগী হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে, এছাড়া এ ঘটনায় কেউ এখনও লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।