বাংলাদেশে ম্যানমেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যানমেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা বিষয়ে আলোচনা করতে রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিমের সঙ্গে হান্দা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সহ-সভাপতি দেং পেইলেই দেখা করেছেন। এসময় তার সঙ্গে ঢাকায় অবস্থিত জাপানি বায়িং হাউজ, এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লিমিটেডের সাধারণ ব্যবস্থাপক তাকাশি নাকাহাশি ছিলেন।
চীনভিত্তিক পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হান্দা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চীন, মিয়ানমার ও মিশরে নিজস্ব নীটওয়্যার পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে ও তারা এককভাবে ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে বাৎসরিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। অপরদিকে, এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লিমিটেড একটি জাপানি বায়িং হাউজ, যারা বাংলাদেশে ছয় বছরেরও অধিক সময় ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
সাক্ষাৎকালে হান্দা ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের সহ সভাপতি দেং পেইলেই বাংলাদেশে ম্যানমেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যানমেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন ও এ ব্যাপারে পোশাক শিল্পের মুখপাত্র প্রতিষ্ঠান, বিজিএমইএ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশে ম্যানমেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যানমেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
বিজিএমইএ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘গত এক দশকে পোশাক শিল্পে যে বাস্তব রূপান্তর ঘটেছে, তা বিশ্ব বাজারে শিল্পের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে এবং ক্রেতা ও ভোক্তাদের আস্থা বাড়িয়েছে। সাফল্যের উপর ভিত্তি করে, শিল্পটি ক্রমাগত আরও উৎকর্ষ সাধনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’
তিনি বলেন, টেকসই হওয়ার কারনে বিশ্ববাজারে ক্রেতারা এখন নন-কটন পোশাক পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন। টেক্সটাইল খাতের মধ্যে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে ম্যান-মেইড ফাইবার-ভিত্তিক ইয়ার্ন ও ফ্যাব্রিক্স, যেমন পলিয়েস্টার, ভিনকস, স্প্যানডেক্স, মেলাঞ্জ। সুতরায় বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যানমেইড ফারবার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি রেডি মার্কেট রয়েছে।
শহিদউল্লাহ আজিম পোশাক শিল্পের টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন যে এই রূপকল্পের আওতায় পোশাক শিল্প ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে বিজিএমইএ সব সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহী।
তিনি আরো বলেন, নন-কটনখাতে বিদেশি বিনিয়োগ অথবা যৌথ বিনিয়োগে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভাব্য সব লজিস্টিিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।ডি- এইচএ