চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। ছবি: আল জাজিরা
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র দেয়ার বিষয়টি চীন বিবেচনা করছে বলে যে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং। একই সঙ্গে দেশটির পক্ষ থেকে সংঘাত অবসানের জন্য সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
স্থানীয় সময় সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। খবর আল জাজিরার।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর চীনের এক মুখপাত্র বলেছেন, দাবি করার মতো অবস্থায় নেই যুক্তরাষ্ট্র।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সিনো-রুশ সম্পর্কের দিকে আঙুল তোলা বা এমনকি নিগৃহীত করা কখনও মেনে নেবে না চীন।
রাশিয়াকে সহযোগিতায় চীন প্রাণঘাতী সরঞ্জাম পাঠাতে বলে উল্লেখ ব্লিঙ্কেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পর এই মন্তব্য করেছেন ওয়াং ওয়েনবিন।
ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখেছি চীনা কোম্পানি ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য প্রাণঘাতী নয় এমন সরঞ্জাম দিয়ে রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, আমাদের এখনকার উদ্বেগ হলো চীন তাদেরকে প্রাণঘাতী সরঞ্জাম দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
শনিবার মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ির কাছে এই উদ্বেগ তুলে ধরে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেন ব্লিঙ্কেন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, চীনের কাছে দাবি করার মতো অবস্থানে নেই যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, এটির ভিত্তি হলো জোট নিরপেক্ষতা এবং সংঘাতবিরোধিতা।
ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যের পর সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র-বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছিলেন, মস্কোকে চীনের সম্ভাব্য অস্ত্র সহযোগিতা হবে ব্লকটির সঙ্গে চীনের ‘রেড লাইন’। নিজের উদ্বেগ জানিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন রাশিয়ার অস্ত্র সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকতে।
সোমবার মস্কো সফরে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।এমকে
