যে প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ অস্ত্র বিক্রি করতেন তারা

বৈধ অস্ত্র থাকলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশি বেতনে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি মেলে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে একটি চক্র পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধ পথে অস্ত্র আনত। 

সেই অস্ত্রের জাল লাইসেন্স তৈরি করে নিরাপত্তা প্রহরীদের কাছে বিক্রি এবং তাদের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেশি বেতনে চাকরি পাইয়ে দিত। বিনিময়ে চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ২-৩ লাখ টাকা নিত।

এমন একটি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-২-এর একটি যৌথ দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। 

গ্রেফতার ৬ জন হলেন- পলাশ শেখ, মনোয়ার হোসেন, রশিদুল ইসলাম, নাজীম মোল্লা, মারুফ হোসেন ও নাইমুল ইসলাম। 

একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটার গান, সাতটি একনালা বন্দুক, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, আট রাউন্ড পিস্তলের গুলি, দুই রাউন্ড ওয়ান শুটারের গুলি, ৬৭ রাউন্ড একনলা বন্দুকের গুলি, ৪০ রাউন্ড ০ দশমিক ২২ বোর রাইফেলের গুলি, ১১টি জাল লাইসেন্স এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার নামে ১৯টি সিল ও অন্যান্য সামগ্রী তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।

সোমবার কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে-চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচা এবং জাল লাইসেন্স তৈরি করে আসছিল। 

চক্রটি বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে চড়া দামে অবৈধ অস্ত্র বিক্রি করে আসছিল। এ পর্যন্ত ২০-২৫ জনের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে তারা। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, ২০০৪ সালে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে পলাশ। ২০১৩ সালে ঢাকায় আসে। একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করে। 

চাকরিরত অবস্থায় ২০১৫ সালে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ভুয়া লাইসেন্স করা বন্দুক কিনে একটি বেসরকারি ব্যাংকে বেশি বেতনে নিরাপত্তা কর্মীর চাকরি শুরু করে। পরে সে নিজেই অবৈধ পথে অস্ত্র চোরাচালান ও বিক্রি শুরু করে। 

এভাবে সে চক্র গড়ে তোলে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এ চক্রের কাছ থেকে যারা অস্ত্র কিনেছেন তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। 

LEAVE A REPLY