চওড়া রাস্তা, ফ্লাইওভার আর গুলশানের আভিজাত্য দেখে মুগ্ধ সৌরভ

ছবি : মীর ফরিদ

ভারতীয় ক্রিকেটের সাবেক সফলতম অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি বাংলাদেশে এসেছেন ৯ বছর পর। মেয়র কাপের উদ্বোধন এবং একটি ব্যাংকের প্রচারণার কাজে তার এই সফর। এত বছরে ঢাকার রূপ অনেক বদলে গেছে। রাস্তা হয়েছে চওড়া, নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু ফ্লাইওভার। রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলো আরো জমজমাট হয়েছে। এসব দেখে নিজের মুগ্ধতার কথা জানালেন সৌরভ। প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের উন্নয়নের। 

ছবি : মীর ফরিদ

মেয়র কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে সৌরভ বলেন, ‘যতবার ঢাকা আসি, এই শহরের মধ্যে দিয়ে যখন আসি আমি প্রচুর পরিবর্তন দেখতে পাই। আমি ৯ বছর পর এসে দেখি রাস্তা কত চওড়া হয়েছে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার হয়েছে। গুলশান দিয়ে যখন এলাম দেখলাম এখানেও কত পরিবর্তন এসেছে। এই উন্নয়ন কাদের জন্য? যুবসমাজের জন্য। তাই এই উন্নয়নের সঙ্গে তোমরা এগোও, উন্নয়নের অংশ হও। মাদক জীবনের সমাধান নয়। কঠোর পরিশ্রমই একমাত্র সমাধান। তাই খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকো, গান-বাজনার সঙ্গে যুক্ত থাকো, শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকো। এগুলো তোমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’

ছবি : মীর ফরিদ

বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে সৌরভ আরো বলেন, ‘আমার স্পষ্ট মনে আছে, ইনডিপেনডেন্স কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা ৩১৫ রান তাড়া করে জিতি। তখনকার দিনে ৩১৫ রান চেজ করা খুব কঠিন ছিল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তখন এত সুন্দর আলো ছিল না। ফুটবলের আলোয় খেলা হয়েছে এবং সে ম্যাচটা আমরা জিতি। বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে চেষ্টা করছে সেটা সত্যিই প্রয়োজনীয়। সারা বিশ্বেই এই ক্যাম্পেইন দেখেছি। কারণ ড্রাগস কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের কাছে একটি আতঙ্কের কারণ। আমি মাননীয় মেয়র সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই। উনি খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের যুবসমাজকে ব্যস্ত রেখেছেন। আমি মনে করি মাদকের সমাধান একমাত্র স্পোর্টস।’ 

ছবি : মীর ফরিদ

সংগীত যে বাংলাদেশের মানুষের রক্তে আছে, সেটা ভালোই জানেন সৌরভ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদশের সংস্কৃতি সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল। মিউজিক হলো বাংলাদেশের মানুষের হার্টবিট। এখান থেকে বহু গায়ক-গায়িকা ভারতবর্ষে গেছে, তাদের গান শুনেছি। আমার এখনো মনে আছে, যখন প্রথম পিঙ্ক টেস্ট হয়, ভারতীয় ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম যে পিঙ্ক টেস্ট আয়োজন করেছিলাম তা বাংলাদেশের বিপক্ষে। আপনাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন কলকাতায় আমার আমন্ত্রণে, ওই টেস্ট ম্যাচ দেখতে। প্রচুর মধুর সময় কেটেছে বাংলাদেশের মানুষের সাথে।’

LEAVE A REPLY