তুরস্কে কাতারের কনটেইনার ঘর

ভূমিকম্পে ঘরহারা হয়েছে তুরস্কের লাখ লাখ মানুষ। অসহায় এই মানুষদের জন্য কাতার পাঠিয়েছে কনটেইনার ঘর। অস্থায়ী ৩৯৬টি কনটেইনার ঘর সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে। শনিবার ঘরগুলো বহনকারী দুটি জাহাজ দক্ষিণ তুরস্কের হাতায় প্রদেশের ইস্কেন্দারুন বন্দরে ভেড়ে। 

এর আগে কাতার সরকার ঘোষণা করে ১০ হাজার কনটেইনার বাড়ি তুরস্কে পাঠানোর কথা। প্রথম প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে ৩০৬টি সুসজ্জিত ‘কনটেইনার বাড়ি’ তুরস্কে পৌঁছায় ১২ ফেব্রুয়ারি। 

দোহায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা গোকসু ঘোষণা করেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরও এক হাজার ৪০০ কনটেইনার ঘর পাঠাবে কাতার। রাষ্ট্রদূত গোকসু উল্লেখ করেছিলেন, কাতার এ পর্যন্ত তুরস্কে যে সহায়তা বিমান পাঠিয়েছে তার সংখ্যা ৪০-এ পৌঁছেছে। 

এ ছাড়া ছয়টি জাহাজের কথাও তিনি অন্তর্ভুক্ত করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি কাতার ও বিভিন্ন দেশ থেকে কনটেইনার বাড়ি পৌঁছানোর কথা উঠে আসে দোহা নিউজের প্রতিবেদনে। 

অন্যান্য কনটেইনার জাহাজ ১৪ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে কার্গো ভর্তি হওয়ার পরে রওনা হয়। সেখানে প্রায় এক হাজার ৩৮৮টি কনটেইনার ঘর, ৬২৭টি মানবিক সাহায্যের প্যাকেজ পর্যায়ক্রমে ছেড়ে যাওয়া পাঁচটি জাহাজে বহন করা হয় বলে উঠে আসে প্রতিবেদনে। মোবাইল ঘর খ্যাত অস্থায়ী এই আবাস আগে ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২-এ থাকার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। আলাদাভাবে, ন্যাটোর ৬০০টি অস্থায়ী কনটেইনার বাড়ির একটি জাহাজ তুরস্কে যাওয়ার কথা জানায়। ন্যাটো জোট ১০০০ বাড়ি পাঠাবে বলেও ঘোষণা দেয়। 

বন্দরে জাহাজগুলো নোঙর করার সময়, কির্কলারেলির গভর্নর বিরল একিচি গণমাধ্যমে জানান, তারা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত অঞ্চল পুনরুদ্ধারে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তুর্কিয়ের প্রতি কাতারের সমর্থনকে তিনি সাধুবাদ জানান। এই অঞ্চলে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে কনটেইনার ঘরের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি জানান, ‘কাতার ৬ ফেব্রুয়ারির জোড়া ভূমিকম্পের পর থেকে মানবিক সহায়তা এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। তারা সবসময় আমাদের সমর্থন করেছে, আমি আমাদের কাতারি ভাইদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

আঙ্কারায় কাতারের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বিন নাসের বিন জসিম আল-থানি বলেন, ‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় দেশটির সহায়তা অব্যাহত থাকবে। কাতারের পাঠানো শত শত কনটেইনার বাড়ি দক্ষিণ তুরস্কে ভূমিকম্পে বাস্তুচ্যুত লোকদের অস্থায়ী আশ্রয় দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে। 

LEAVE A REPLY