সমকামিতার বিরুদ্ধে কেনিয়ার ফার্স্ট লেডির প্রার্থনার ঘোষণা

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো তার স্ত্রী রাচেল রুটোকে নিয়ে হাঁটছেন। ছবি : আফ্রিকানিউজ/ব্রায়ান ইংগাঙ্গা/অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

কেনিয়ার ফার্স্ট লেডি রাচেল রুটো দেশটিতে সমকামিতার বিরুদ্ধে জাতীয় প্রার্থনার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি সমকামিতার অনুশীলনকে পরিবারের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

মেরু কাউন্টির একটি গির্জায় রবিবার পরিষেবা চলাকালীন রুটো বলেন, ‘আমরা পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে চাই, যেখানে আমাদের বাবা-মা এবং সন্তান রয়েছে। সমকামিতা আফ্রিকান সংস্কৃতিতে নিষিদ্ধ, এমনকি বাইবেলেও। আসুন আমরা পারিবারিক মূল্যবোধকে ধরে রাখি।’

এর আগে ফার্স্ট লেডি একটি ফেইথ ডিপ্লোম্যাসি অফিস তৈরি করেছিলেন। তার মতে, এর মাধ্যমে সারা দেশে প্রার্থনার সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন, ফেইথ ডিপ্লোম্যাসি অফিস প্রার্থনাকে দেশের বাকি অংশে নিয়ে যাবে। এ ছাড়া ‘পারিবারিক মূল্যবোধ সুরক্ষিত করতে’ একটি প্রগ্রাম তৈরি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ফার্স্ট লেডিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘আমি চাই যে সবাই পরিবারের বিষয়ে প্রার্থনা করুক। পরিবার এমন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে যেটিতে খুব বেশি আক্রমণ করা হয়েছে।’

কেনিয়ানদের পরিবারের বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন ফার্স্ট লেডি, কারণ সমকামিতা বিতর্ক পারিবারিক কাঠামোকে হুমকি দিচ্ছে। 

সমকামিতার অধিকার এবং স্বীকৃতিকে ঘিরে দেশটিতে বেশ কিছুদিন ধরে বিতর্ক চলছে। এর সমর্থক এবং বিরোধীরা এ বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করছে। গত সপ্তাহে কেনিয়ার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট রিগাথি গাচাগুয়া একটি বিবৃতি দিয়েছেন, যা সমকামী সম্প্রদায় এবং এর মিত্রদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিবৃতিটি দেশে সমকামী ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং তাদের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে কি না সে সম্পর্কে কথোপকথনকে পুনরুজ্জীবিত করেছে।

এ ছাড়াও দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সমকামিতার অধিকার এবং গ্রহণযোগ্যতার পক্ষে যারা ওকালতি করে তাদের সমালোচনা করে বলেছেন, দেশে সমকামিতার অনুশীলনকে ক্ষমা করা হবে না।

সূত্র : আফ্রিকানিউজ

LEAVE A REPLY