সংগৃহীত ছবি
জাপানে দ্রুতহারে জন্মহার কমতে থাকায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কপালে। সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি জন্মহার হ্রাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে একদিন জাপানের অস্তিত্বই মুছে যাবে।’
মহামারি-পরবর্তী পর্যায়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। বেড়েছে পরিবার ছোট রাখার প্রবণতা। এমনকি জাপানের তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এখন বিয়ে করতেই রাজি নয়। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে দ্রুতহারে কমছে জন্মহার। ২০২২ সালে সবচেয়ে কম শিশু জন্মানোর সর্বকালীন রেকর্ড হয়েছে জাপানে। এই পরিস্থিতি দেখে চিন্তা বেড়েছে জাপান সরকারের। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এমন চলতে থাকলে দেশে সামাজিক কাঠামোই নষ্ট হয়ে যাবে। ভেঙে পড়বে অর্থনীতি।’
তবে জন্মহার কমার নেপথ্যে টোকিওর কড়া অভিবাসন নীতিও অন্যতম কারণ বলে মনে করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটির মতে, ২০২১ সালের সমীক্ষার ফলাফল জন্মহারের অনুপাত সম্পর্কে যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
সমীক্ষা অনুসারে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তাদের বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে নেই। ১৯৮২ সাল থেকে প্রতিবছরই এই সমীক্ষা করা হয়। তবে গত কয়েক বছরের সমীক্ষার ফলাফল ভাবনায় ফেলেছে দেশটির সরকারকে।
সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০২২ সালে জাপানে আট লাখেরও কম শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল আট লাখ ১২ হাজার। ২০২০ সালে সাত লাখ ৪০ হাজার। অন্যদিকে ২০২২ সালে জাপানে মৃত্যু হয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষের। অর্থাৎ জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুর হার প্রায় দ্বিগুণ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা