প্রতীকী ছবি
এবার ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে খুলছে নতুন দুয়ার। এজন্য দেশটির নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১৩১ কিলোমিটার পাইপলাইন। এতে পরিবহন ব্যয় অর্ধেক কমবে। পাশাপাশি বছরে সাশ্রয় হবে অন্তত ৮০ কোটি টাকা। আগামী ১৮ মার্চ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন এই প্রকল্প।
উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল, সরবরাহের ক্ষেত্রে পরিবহন ও বিপণনের চ্যালেঞ্জ দীর্ঘদিনের। কারণ, আমদানিকৃত জাহাজ থেকে খালাসের পর কয়েক ধাপে নিতে হতো ওইসব এলাকায়। এতে ব্যয়ও বাড়তো কয়েক গুণ।
সেই সমস্যা কাটাতে ভারত-বাংলাদেশ মিলে যৌথ উদ্যোগ নেয় ২০১৮ সালে। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পাবর্তীপুর পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে নির্মিত হয় ১৩১ কিলোমিটার পাইপলাইন। প্রাথমিকভাবে যা দিয়ে বছরে দুই লাখ টন ডিজেল আসবে ভারত থেকে।
সাড়ে চার বছরে নির্মিত এই প্রকল্পে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ৬০০ কোটি টাকার মতো। যার অর্ধেক বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ। তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান ব্যবস্থা, প্রতি ব্যারেল ডিজেল আমদানির জন্য ইন্স্যুরেন্স এবং ভাড়া বাবদ গুনতে হয় ১১ ডলার হারে।
ভারত থেকে সরাসরি আনলে যা নেমে আসবে সাড়ে পাঁচ ডলারে। যাতে বছরে সাশ্রয় হবে অন্তত ৮০ কোটি টাকা। আমদানি করা ডিজেল মজুতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ২৯ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ট্যাঙ্ক। আগের ১৫ হাজারের সঙ্গে যা যুক্ত হয়ে নিশ্চিত করবে দুই মাসের মজুত। এসময় ডিজেলের মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এখানে কোনো মানের প্রশ্ন নেই।আমরা সবকিছু নির্দিষ্ট করে দিয়েছি।সেটা অনুযায়ী, ডিজেল আসবে।নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য আমরা এখন পাইপলাইন নির্মাণ করে ফেলেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কত দ্রুত জ্বালানি পৌঁছাতে পারি। এখানে লক্ষাধিক ডিজেল পাম্প আছে। সৈয়দপুরে একটি আছে। সেখানে তা লাগবে।শিল্প ক্ষেত্রে সেটা প্রয়োজন।সার্বিক বিবেচনা করে এই টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের নজরদারি করা যাবে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায়।ডি- এইচএ