সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া জনপ্রিয়। এর শাক যেমন পুষ্টিকর ও সুস্বাদু তেমনি বীজও খুব উপকারী।
মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রামের মিষ্টি কুমড়ায় ১৮ কিলোক্যালরি, ১.৪ গ্রাম প্রোটিন, ১.৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.৪ গ্রাম ফাইবার, ৫২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৭১ মিলিগ্রাম আয়রন, ১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ১৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৩৪৯ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৮ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ০.১১ মিলিগ্রাম জিংক, ০.২১ মিলিগ্রাম কপার, ৩৬৯ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ, ৪৪৩০ মাইক্রোগ্রাম বিটা ক্যারোটিন, ১৬ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট ও ২১.১ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-সি পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
* নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে হজমে সহায়তা করে, নিয়মিত এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকা যায়।
* মিষ্টি কুমড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, এটি নিয়মিত গ্রহণে বেশ কিছু মারাত্মক রোগ যেমন- ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা যায়।
* মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ ত্বকের যত্নে অনন্য। নিয়মিত এই সবজি খেলে ত্বক থাকে কোমল ও মসৃণ।
* ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় মিষ্টি কুমড়া থেকে। এই উপাদান স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
* পটাসিয়ামের উৎস এই সবজি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে দূরে থাকা যায় কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ থেকে।
* নিয়মিত এই সবজি গ্রহণে লিভার ভালো থাকে।
মিষ্টি কুমড়া বীজের পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে ২৪০০ কিলোক্যালরি, ২৫.১ গ্রাম প্রোটিন, ১০.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪৭.৩ গ্রাম ফ্যাট, ৬ গ্রাম ফাইবার, ৪৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৮.১ মিলিগ্রাম আয়রন, ৪৩১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ১০৪২ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৮১৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ১৩ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৫.৮৭ মিলিগ্রাম জিংক, ০.৬২ মিলিগ্রাম কপার, ১ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ, ১০ মাইক্রোগ্রাম বিটা ক্যারোটিন, ৫৮ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট ও ১.৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-সি, নায়াসিন ১০.৪ মাইক্রোগ্রাম পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
* রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
* হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
* মিষ্টি কুমড়ার বীজ শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ চাপ কমায়।
* পাকস্থলী, ফুসফুস, ব্রেস্ট, কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। মিষ্টি কুমড়ার বীজ থেকে উৎপন্ন তেল প্রোস্টেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
* ম্যাগনেসিয়াম একটি খনিজ পদার্থ, যা শরীরের বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড উৎপাদনে অপরিহার্য। এ ছাড়া শরীরের হরমোনগুলোর কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ, হার্ট সচল, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় মজবুত, স্নায়ুতন্ত্রের খবরাখবর আদান-প্রদানগুলো অসংখ্য জৈবিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ম্যাগনেসিয়ামের খুব সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য উপাদান হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ।
পরামর্শ দিয়েছেন
পুষ্টিবিদ নাহিদ আহমেদ
ফরাজী ডায়াগনস্টিক ও হসপিটাল
বারিধারা