মোটরসাইকেল বিক্রি কমেছে ২০%

ডলার সংকটে মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়া এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বেড়েছে মোটরসাইকেল উৎপাদন খরচ। ফলে দেশের বাজারে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে মোটরসাইকেলের দাম। মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এরই মধ্যে মোটরসাইকেল বিক্রি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমে গেছে বলে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।

কর্মজীবী মানুষের অন্যতম প্রয়োজনীয় বাহন মোটরসাইকেল। স্বল্প খরচে এবং দ্রুত চলাচলের জন্য এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে; কিন্তু করোনার কারণে বিক্রি কমে গিয়ে দেশের মোটরসাইকেল খাতে বড় ধরনের ধস নেমেছিল। সেই সংকট কাটিয়ে খাতটি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। এখন ডলার সংকটের প্রভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন ও বিক্রি দুটিই কমে গেছে।

দেশের মোটরসাইকেল উৎপাদন ও বিপণনকারী কম্পানিগুলোর তথ্য মতে, গত বছর দেশের বাজারে মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে প্রায় ছয় লাখ। আগের বছরে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। এবার প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে উল্টো মোটরসাইকেল বিক্রি কমে গেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। ডলার সংকটের কারণে সাত-আট মাস ধরে মোটরসাইকেল বিক্রিতে মন্দা যাচ্ছে।

বাংলাদেশে জাপানের ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এসিআই মোটরস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডলার সংকটে চাহিদা অনুযায়ী মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি করা যাচ্ছে না। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নসহ বিভিন্ন কারণে এখন মোটরসাইকেল খাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ১৫ শতাংশ দাম বেড়েছে; কিন্তু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত মোটরসাইকেল বিক্রি কমে গেছে।’

মোটরসাইকেলের জাপানি ব্র্যান্ড ‘সুজুকি’র বারিধারা শোরুমের সেলস এক্সিকিউটিভ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে মোটরসাইকেলের দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। যার কারণে আমাদের ব্র্যান্ডের গাড়ির বিক্রি এরই মধ্যে ২৫ শতাংশের বেশি কমে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে এই শোরুমে গড়ে প্রতি মাসে ১০০ ইউনিট (পিস) মোটরসাইকেল বিক্রি করা যেত। বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে এখন মাসে গড়ে ৭০টির বেশি মোটরসাইকেল বিক্রি করা যাচ্ছে না।’

LEAVE A REPLY