কিম জং উন মিসাইল ছুড়লে কয় মিনিটে আঘাত হানবে আমেরিকায়?

কিম জং উন

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি নিয়ে যতই আমেরিকা-উত্তর কোরিয়া বৈঠক হোক, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় বিরাম নেই কিমের দেশ উত্তর কোরিয়ার। গত বছর মার্চে স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া, সেটা আবার প্রকাশ্যে এনেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদমাধ্যম। আর এবার তো সব সীমাই নাকি ছাড়িয়ে গিয়েছে কিম জং উনের দেশ। এমন মিসাইল বানিয়েছে উত্তর কোরিয়া যা মাত্র ৩৩ মিনিটের মধ্যে সুপারসনিক বেগে ছুটে গিয়ে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে ভয়ঙ্কর আঘাত করতে পারে। এই মিসাইলের ধাক্কায় চরম ক্ষতি হতে পারে আমেরিকার পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল।

উত্তর কোরিয়ায় কী ঘটছে তা সহজে সামনে আসে না। উত্তর কোরিয়ার যাবতীয় খবর সামনে আনে দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু সংবাদমাধ্যম। এবার চীনের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এই মিসাইলের খবর প্রকাশ্যে এনেছে। চীনের সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল বানিয়েছে যা ৩৩ মিনিটের মধ্যে আঘাত হানতে পারে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে। উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকার মধ্যে দূরত্ব অনেক। কিন্তু এই ব্যালিস্টিক মিসাইল নাকি শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছুটতে সক্ষম। আধ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।  

নিউক্লিয়ার নেটওয়ার্ক বিশ্লেষক তিয়ানরান জু সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে। পিয়ংইয়ংয়ের এই মিসাইলের পাল্লা প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার। আমেরিকাকে লক্ষ্য করে এই মিসাইল নিক্ষেপ করলে তা গোটা আমেরিকায় ধ্বংসলীলা শুরু করবে। বেজিং ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রনিস্ক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং এই মিসাইলের অনুকরণ করে কিছু পরীক্ষা চালিয়েছে। তাতেই বোঝা গেছে এই ব্যালিস্টিক মিসাইলের ক্ষমতা কতটা। 

যদিও চীনের দাবি, উত্তর কোরিয়ার মধ্যভাগ থেকে যদি এই মিসাইল ছোড়া হয় তাহলে ২০ মিনিট পরে আমেরিকার মিসাইল হেডকোয়ার্টারে অ্যালার্ট যাবে। আমেরিকার মিসাইল প্রতিরোধী ব্যবস্থা সক্রিয় হবে। উত্তর কোরিয়ার ছোড়া মিসাইল হানা ব্যর্থ করতে আলাস্কার ফোর্ট গ্রিলি থেক ১১ মিনিটের মধ্যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ শুরু করবে। যদি তা ব্যর্থ হয়, তখন ক্যালিফোর্নিয়ার ভানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে মিসাইল প্রতিরোধী ব্যবস্থা কাজ করবে।

সূত্র : দ্য ওয়াল

LEAVE A REPLY