সাকিব আল হাসান
যখন আপনারা স্বপ্ন দেখবেন, স্বপ্নটা বড় দেখবেন। এবং স্বপ্নকে একটা টার্গেট করে সৎভাবে কাজ করবেন। আমি নিশ্চিত ইনশাল্লাহ আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হবে।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি) এর ২১ তম সমাবর্তনে সাকিব আল হাসান এ কথা বলেন।
সাকিব তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি দীপু আপার (শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি) অনেক বিতর্ক দেখেছি। কারণ আমি বক্তৃতা ভালো দিতে পারি না। প্রশ্ন-উত্তর আমি ভালো পারি। বক্তব্য দিতে এসে তাই আমি খুবই নার্ভাস। (সমাবর্তনের হ্যাট দেখিয়ে) টেস্ট ম্যাচে যখন অভিষেক হয়েছিল, ক্যাপটা যখন পেয়েছিলাম ঠিক সেই অনুভূতি হচ্ছে আজকে।
পড়াশোনা বিষয়ে সাকিব আল হাসান বলেন, ২০০৯ সালের দিকেও আমার যখন জাতীয় দলে আমার ক্রিকেট খেলার ৩ বছর হয়ে গেছে তখনো আম্মা যখন ফোন করতো প্রথম কথাই জিজ্ঞাস করতো পড়াশোনার কি অবস্থা? আজকে আমি খুবই খুশি, আনন্দিত ও গর্বিত যে শেষ পর্যন্ত আমার এই স্বপ্ন পূরণ হলো। খেলার মাঠে হয়তো আমার বেশকিছু অর্জন আছে। কিন্তু এটা সবসময় আমার স্বপ্ন ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন সাকিব। জানালেন তাঁকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে সকলেই। তিনি বলেন, আমার সকল কোর্স শিক্ষকদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। এআইইউবিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই তারা যেভাবে সমর্থন করেছে। শুধু আমি না, আমাদের ক্রিকেট দলের অনেকেই এখানে পড়াশোনা করেছে। আমাকে ও তাদেরকে এআইইউবি যেভাবে সমর্থন করেছে তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্বপ্নকে লক্ষ্য করে সৎভাবে কাজ করতে হবে জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সাকিব বলেন, আমি নিশ্চিত আপনাদের জীবন সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। শুধু একটা কথা বলতে চাই, যখন আপনারা স্বপ্ন দেখবেন, স্বপ্নটা বড় দেখবেন। স্বপ্নকে লক্ষ্য করে সৎভাবে কাজ করবেন। আমি নিশ্চিত আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
২০০৯-১০ সেশনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (বিবিএ) ভর্তি হন সাকিব। ১৪ বছর পর গ্র্যাজুয়েট হলেন তিনি।