বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: চাল-আটায় অস্বস্তি হলেও খাদ্যে নিরাপদ বাংলাদেশ

খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে সরকার

আমদানি ছাড়াও নানা কারণে বিশ্বব্যাপী চড়া ছিল অভ্যন্তরীণ খাদ্যপণ্যের দাম। বাংলাদেশের বাজারে আটা ও মোটা চালের বাজারেও চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে, যদিও বর্তমানে বাংলাদেশে গমের আটার দাম কমতে শুরু করেছে। চাল-আটার দামে বাজারে অস্বস্তি থাকলেও খাদ্যে নিরাপদ বাংলাদেশ। তবে আমদানিতে মন্দা এখনো প্রকট।

বিশ্বব্যাংকের ‘ফুড সিকিউরিটি আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে খাদ্যমূল্য নিয়ে বৈশ্বিক চিত্রে বাংলাদেশ অংশে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি বিশ্বজুড়ে উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অক্টোবর ২০২২ এবং ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এর মধ্যে সর্বশেষ মাসে খাদ্যের তথ্যে দেখা গেছে, প্রায় সব নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ৯৪ শতাংশের ওপরে মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলো প্রায় ৮৭ শতাংশ উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন হচ্ছে। আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তান খাদ্যসংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। ওই দেশে চার মিলিয়ন শিশুসহ মানুষ তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। প্রায় ৫৩ শতাংশ আফগান তাদের খাদ্যচাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এ ছাড়া জলবায়ু সংকট খাদ্যসংকটকে আরো তীব্র করেছে। ৩৪টির মধ্যে ৩০টি প্রদেশে সুপেয় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু কারণে শিশুস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে দেশীয় শস্য ও গমের আটার দাম চলতি বছরে অস্থির ছিল। পাকিস্তানে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গমের আটার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল এবং ২০ থেকে এক লাফে ১৪০ শতাংশ দাম উঠেছে। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় চাল ও গমের আটার দাম বেশি। নেপালেও খাদ্যসংকট দেখা গেছে। মোটা চাল ও গমের আটার দাম সামনে আরো বাড়তে থাকবে। গমের আটার দাম বছরে ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাদের দাবি ২০২২ সালের বন্যা, কৃষি উপকরণের বাড়তি দাম এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধি উচ্চমূল্যের জন্য দায়ী।

LEAVE A REPLY