
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি : কেসিএনএ/রয়টার্র
উত্তর কোরিয়া রবিবার কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে একটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫ মিনিটে পশ্চিম উপকূলের ডংচ্যাং-রি সাইট থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রায় ৮০০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। এ ছাড়াও ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঁচুতে উড়েছে বলে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এদিকে সিউল উত্তরের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা করেছে। সে সঙ্গে টোকিও এবং ওয়াশিংটন থেকেও সমালোচনা করা হয়েছে।
উৎক্ষেপণের পর পরই দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র একটি যৌথ বিমান মহড়ায় একটি বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। সিউল এবং ওয়াশিংটনের মতে, তারা বর্ধিত প্রতিরোধ জোরদার করার জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তোশিরো ইনো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার আচরণ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং অগ্রহণযোগ্য।’ জাপান বেইজিংয়ে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বলেও তিনি জানান।
মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, রবিবারের উৎক্ষেপণ মার্কিন কর্মীদের বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করে না। তবে সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পিয়ংইয়ংয়ের গণবিধ্বংসী বেআইনি অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অস্থিতিশীল প্রভাবকে তুলে ধরে।
সূত্র : রয়টার্স