নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, তোলারাম কলেজে আসলে রক্ত একটু গরম হয়ে যায়। রোজার মাস একটু সংযম করি। রোজা আর ঈদ যাক। যারা আমাদের কথায় কথায় থ্রেড করছেন বারোটা বাজাবেন চব্বিশটা বাজাবেন ঈদের পর নারায়ণগঞ্জের বাড়িতেই চলে আসবো। কখন খেলবেন কয়টা বাজে খেলবেন। নারায়ণগঞ্জ বাসীকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে খেলবো।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনকে ‘পুরুষত্ব’ প্রমাণের আহ্বান রেখেছেন আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, কয়েকদিন আগে তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন ‘আমরা কাউকে ভয় পাই না। আবার বলতাছেন রক্তচক্ষু দেখাবেন না। ওনি নারায়ণগঞ্জে অনেক কিছু করিয়েছেন। আমাদের সুন্দর আলী ভাইকে মারিয়েছেন, নজরুল ইসলাম সুইট, জাফর, মাসদাইরের সেলিমকে মারিয়েছেন। আমাদের ১০ থেকে ১২ জনকে তিনি হত্যা করিয়েছেন। আমাদের বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই সাব্বিরকে হত্যা, নিষিদ্ধপল্লীর ছেলেদের দিয়ে হত্যা করিয়েছিলেন। তিনি সেই লোক। তিনি মিশনপাড়ার ডেভিডকে হত্যা করিয়েছিলেন। কারণ ডেভিড তার কন্ট্রোলে ছিল না। সে ছিল অন্য গ্রুপের।
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অনেক নেতা ছিলেন। আমাদের উপর বিএনপির অনেকে অত্যাচার করেছেন। আমরা কিন্তু প্রতিশোধ নেইনি। ওনি সেদিন বলছেন আওয়ামী লীগের একটি আওয়ামী লীগের ভালো গ্রুপ নাকি চায় শেখ হাসিনার সরকার আর যেন ভবিষ্যতে ক্ষমতায় না আসে। আমার মনে হয় ওনি ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে চান। ফ্যাসাদ সৃষ্টি হলো খুনের চেয়ে বেশী অপরাধ। আমি সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, যদি এ ভদ্রলোক সত্যিকারের কাপুরুষ না হয় তাহলে তার জবাব দেয়া উচিত আওয়ামী লীগের কোন গ্রুপের সদস্যরা চায় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসুক সেটা প্রকাশ করুক। গিয়াসউদ্দিন সাহেব আমার বড় ভাই। আমার মামা শ্বশুর হন সম্পর্কে। ১০ বছর কোন খবর ছিল না। এখন মাঠে নেমেই উচ্ছৃঙ্খল স্লোগান দিচ্ছেন। জাতির জনক ও তার কন্যাকে নিয়ে খারাপ গালি দিচ্ছেন। তার সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে অনেকে কথা বলছেন। বলছেন আমার বারোটা বাজিয়ে দেবেন। কেউ বলছেন পঁচিশটা বাজাবেন। ভাই আমি শান্ত হয়ে গেছি। কারো সঙ্গে লড়াই করতে রাজী না। এমন চোখ দিয়ে বড় বড় চোখ দেখলে আমার ভয় হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামসহ কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।