ছবি : গেটি
অবিস্মরণীয় সময়ই কাটছে লিওনেল মেসির। বিশ্বকাপ জয়ের পর তিন তারার জার্সিতে প্রথম ম্যাচে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়েছেন তিনি। পানামার বিপক্ষে একবার বল জালে পাঠিয়ে ক্যারিয়ারে করেছেন ৮০০তম গোল। এরপর মেসির নামে জাতীয় দলের অনুশীলন সেন্টারের নামকরণ করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
উচ্ছ্বাসের এই আবহেই আরেকটি প্রীতি ম্যাচে কুরাসাওয়ের মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হবে। এই ম্যাচে একবার লক্ষ্য ভেদ করলে জাতীয় দলের জার্সিতে শততম গোলের মাইলফলকে পা রাখবেন মেসি। ১৭৩ ম্যাচে তাঁর গোল ৯৯টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৬ গোল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার। আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির অভিষেক ২০০৫ সালে। তিনি প্রথম গোল করেন ষষ্ঠ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। ৫০তম গোল পান ২০১৬ সালে বলিভিয়ার বিপক্ষে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে সেই ম্যাচটা ছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১০৭তম। বয়স যত বেড়েছে গোলের ক্ষুধাও বেড়েছে তত। তাই পরের ৬৬ ম্যাচে মেসির গোল ৪৯টি। কুরাসাওয়ের বিপক্ষে শততম গোলের মাইলফলকে পা রাখতে পারবেন কি এই কিংবদন্তি?
মেসির কীর্তির মতো আলোচনায় আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ কুরাসাওকে নিয়েও। কোনো দিন বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া দলটা একেবারে হেলাফেলার নয়। ফিফা র্যাংকিংয়ে তারা আছে ৮৬ নম্বরে। একটা সময়ে উঠে এসেছিল ৬৫-তে। দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগর ও ডাচ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দ্বীপদেশের আয়তন মাত্র ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। ১৯৫৪ থেকে ২০১০ পর্যন্ত তারা ছিল নেদারল্যান্ডস এন্টিলিসের অংশ। ২০১০ সালে এন্টিলিস বিলুপ্তির পর থেকে রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত কুরাসাও। ২০১১ সালে ফিফার সদস্যপদ পাওয়া দেশটি পারবে কি আর্জেন্টিনাকে চমকে দিতে?