গুঞ্জনের ডালপালা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই ছড়িয়েছিল প্রথম। তা কিছুটা প্রসারিত হয়ে সংবাদমাধ্যমের একটি অংশেও চলে আসে। মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রচারিত হতে থাকে যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষেই সাকিব আল হাসানকে আইপিএল খেলতে যাওয়ার ছাড়পত্র দিচ্ছে বিসিবি। আদৌ সে রকম কোনো অনাপত্তিপত্র (এনওসি) এই তারকা অলরাউন্ডারকে দেওয়া হচ্ছে কি না, তা জানতে যোগাযোগ করা হলে শুরুতে চটেই যান ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস, ‘কোনো একটা খবর ছড়ালেই সেটি নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে নাকি? যারা এনওসি দিয়ে (সাকিবকে) পাঠিয়ে দিচ্ছে, তাদেরই পাঠাতে বলুন না।’
যদিও পরে নমনীয় জালাল নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘সাকিব বা লিটনের কাউকেই আমরা এখন পর্যন্ত এনওসি দিইনি। শুধু মুস্তাফিজকে দিয়েছি। কারণ ওর ব্যাপারটি আলাদা। সে টেস্ট খেলে না।’
তার মানে আইরিশদের বিপক্ষে ৪-৮ এপ্রিলের ঢাকা টেস্ট খেলেই যেতে হবে সাকিব-লিটনকে? এবার অবশ্য সরাসরি কোনো জবাব নেই জালালের, ‘সেটি টেস্ট দল ঘোষণা হলেই জানতে পারবেন।’
৩১ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া এবারের আইপিএলের পুরোটা খেলার জন্যই ছাড়পত্র চান সাকিব ও লিটন। আইপিএল চলাকালীন ঢাকায় টেস্ট ছাড়াও মে মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডে আইরিশদের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সফরও আছে বাংলাদেশের। ড্রাফটের আগেই আইপিএল কর্তৃপক্ষকে তা জানিয়ে দেয় বিসিবি। এই সময়ে সাকিবদের দেশের হয়ে খেলার বিষয়ে নিজেদের অনড় অবস্থানও জানিয়ে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। কিন্তু মঙ্গলবার থেকেই এ ক্ষেত্রে বিসিবির নমনীয় হওয়ার সম্ভাবনার কথাও ছড়াতে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান বদলের কোনো সম্ভাবনাই নেই বলে জানালেন জালাল, ‘আমাদের অবস্থান যা ছিল, তা-ই আছে। এটি বদলানোর কোনো সম্ভাবনাও এখন পর্যন্ত দেখিনি।’