সোমবার নর্থ ক্যারোলাইনার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে বক্তৃতা করতে উঠে ন্যাশভিল স্কুলে বন্দুক হামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। বাইডেন জানান, ওই স্কুলে যা ঘটেছে, তা মর্মান্তিক। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক আইন নিয়ে সরব হন তিনি। বাইডেনের বক্তব্য, একমাত্র কংগ্রেসই এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসতে পারে এবং দেশকে বাঁচাতে পারে।
এদিন বক্তৃতার সময় বাইডেন জানিয়েছেন, দুঃখজনক সত্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয় বন্দুকধারীর গুলিতে। গত কয়েক বছরে একের পর এক স্কুলে আক্রমণ হয়েছে এবং একের পর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ন্যাশভিলের ঘটনাটি তার সাম্প্রতিক উদাহরণ। এই মুহূর্তে এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
একটি সমীক্ষা তুলে ধরে বাইডেন বলেন, বলা হচ্ছে, প্রতিবছর গাড়ি দুর্ঘটনায় যত ছাত্র-ছাত্রীর মৃত্যু হয়, বন্দুকধারীর হামলায় তার চেয়ে অনেক বেশি ছাত্র-ছাত্রী নিহত হয়। এই তথ্য দিয়েই বাইডেন দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপর বলেন, চোখের সামনে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও তার হাত-পা বাঁধা। অস্ত্র আইন বদলের চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে এবার বিষয়টি তিনি কংগ্রেসের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য একমাত্র কংগ্রেসই পারে এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতে।
নব্বইয়ের দশকের তুলনা টেনে এনেছেন বাইডেন। তিনি তখন কংগ্রেসে। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অস্ত্র আইন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বাইডেনের বক্তব্য, এবারও সেই একইভাবে অস্ত্রের বিরুদ্ধে নামতে হবে। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দেশে অধিকাংশ ঘরে সেমি অটোমেটিক এবং হত্যা করা যায় এমন অস্ত্র রাখতে চান না। কয়েকজন রাখলেও যারা রাখে তারাই এই কাজ করে।
ন্যাশভিলের স্কুলে এক নারী এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটান। পুলিশ অবশ্য ঘটনাস্থলেই তাকে গুলি করে, ফলে তার মৃত্যু হয়। ন্যাশভিলের ঘটনায় তিন শিশু এবং তিন প্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যু হয়। ওই নারী সেমি অটোমেটিক মেশিনগান নিয়ে স্কুলের ভেতর ঢুকে পড়ে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। পুলিশ এখন পর্যন্ত তার পরিচয় প্রকাশ করেনি। কেন সে এ কাজ করল সেটিও এখনো স্পষ্ট নয়।
সূত্র : ডয়চে ভেলে