মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে হয়েও শুনেছেন তিনি নায়ক হবার যোগ্য নন

বাবার সঙ্গে নমশি

বলিউডে পা রাখতে যাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তীর পুত্র নমশি চক্রবর্তী। কলকাতায় ‘ব্যাড বয়’ ছবির প্রচারে গিয়েছেন নমশি। বাবা মিঠুন কলকাতার হলেও নমশি বাংলা ততটা বলতে পারেন না। বললেন, ‘ছোট থেকেই বছরে এক বার অন্তত কলকাতায় চলে আসতাম। আমরা সাধারণত পার্ক স্ট্রিটের একটা হোটেলে উঠতাম। বাবার তখন এখানে শুটিংয়ের ব্যস্ততা থাকত। কলকাতায় শুটিং দেখতেও হাজির হতাম। সেই সময় কলকাতার একাধিক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বাবার সখ্য ছিল।’

নিজের ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে নমশি বলছেন,  আমাকে প্রচণ্ড লড়াই করতে হয়েছে। সব জায়গা থেকে শুধু ‘না’ শুনেছি। কিন্তু ঠিক করেছিলাম, বাবার পরিচয় ব্যবহার করব না। এক বার তো অডিশনে ওরা আমার পরিচয় জেনে গিয়েছিল। তবে মজার বিষয়, না শোনার পরেও আমি বাইরে এসে মার্সেডিজে বসতাম। 

নমশি নিজের সংগ্রামী জীবনের কথা বললেন এভাবেই,  ২০১৬ থেকে ২০১৯— শুধু লোকের কাছে ‘না’ শুনেছি! সবাই বলত, আমি নায়ক হওয়ার যোগ্য নই। তার পরেও বিজ্ঞাপনে তৃতীয় লিডেও রাজি হয়েছি। ৯ বছর চাকরি করেছি। তখন চিত্রনাট্য লেখা, সিনেমার রিভিউ করার পাশাপাশি অডিশন দিয়ে গিয়েছি। শেষের দিকে ‘না’ শুনলে একটু খারাপ লাগত। ভাবতাম, তা হলে কী করব। এই ছবিতে আমাকে প্রযোজক এবং পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী নিয়েছেন। এর পিছনে বাবার কোনও হাত নেই।

বাবা আপনাকে লঞ্চ করতে চাননি? এমন প্রশ্নের জবাবে নমশি বলেন, বাইরে থেকে সবাই ওটা ভাবে। আমরা কিন্তু খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। বাবা এবং মা কোনও দিন আমাদের ভাইদের নিজে থেকে লঞ্চ করতে চাননি। সব সময় বলেছেন, যা করতে হবে নিজেকে করতে হবে। বলতে বাধা নেই, মিমোকেও (মিঠুনের ছেলে মহাক্ষয়) যে ভাবে লঞ্চ করা উচিত ছিল, সেটা কিন্তু হয়নি।

নমশি বলেন, ‘বাবা খুবই খুশি। অনেকেই ভাবেন, বাবা আমার কাছে রোল মডেল। আমি বলব মা-বাবা নন, সেটা আমার ভাই মিমো। পরিবারে ও আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সঠিক সময়ে ও নিজেকে সকলের সামনে প্রমাণ করবে।’

আনন্দবাজার থেকে 

LEAVE A REPLY