চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন জোটে যোগদানে এক ধাপ আগাল সৌদি

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ মন্ত্রিসভা বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন। ফাইল ছবি : এসপিএ

চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী আঞ্চলিক জোট সাংহাই সহযোগিতা সংস্থায় (এসসিও) যোগদানে সৌদি আরব এক ধাপ এগিয়েছে। সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, এসসিওর সংলাপ অংশীদার হওয়ার বিষয়ে একটি স্মারকলিপি অনুমোদন করেছে সৌদি। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে মঙ্গলবারের বৈঠকে দেশটির মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দেয়। 

২০০১ সালের জুনে চীন, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান নিয়ে এসসিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই ইউরেশীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা জোট বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক সংস্থা হিসাবে স্বীকৃত। সংস্থাটির আটটি সদস্য রাষ্ট্র, চারটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র এবং তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি সংলাপ অংশীদার রয়েছে।

এসপিএ জানিয়েছে, জেদ্দার আল-সালাম প্রাসাদে বাদশাহর নেতৃত্বে সৌদি মন্ত্রিসভার এক অধিবেশন চলাকালীন এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অধিবেশন চলাকালীন বাদশাহ সালমান সৌদি ও চীনের মধ্যে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ চালু করার অনুমোদনও দেন।

পাকিস্তান ও ভারত ২০১৭ সালে এসসিওর পূর্ণ সদস্য হয়। ২০০৫ সালের জুন থেকে ইরান এসসিওতে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে যোগ দেয়। পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির স্থায়ী সদস্যপদ অনুমোদিত হয় এবং পূর্ণ যোগদানের জন্য এক বছর পর একটি প্রতিশ্রুতি স্মারক স্বাক্ষর করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গত ডিসেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সৌদি আরব সফরের সময় দেশটির এসসিওতে যোগদানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। মধ্য-মেয়াদে সৌদিকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার আগে সংলাপ অংশীদারের মর্যাদা দেওয়া সংস্থাটির প্রথম পদক্ষেপ।

উল্লেখ্য, সংস্থার অন্তর্গত দেশগুলো এই বছরের আগস্টে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্ক অঞ্চলে একটি যৌথ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী মহড়া’ করার পরিকল্পনা করেছে।

এদিকে বেইজিংয়ের সঙ্গে রিয়াদের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক সৌদির ঐতিহ্যবাহী মিত্র ওয়াশিংটনে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সৌদি আরব ও চীন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ছাড়াও সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে ‘ভালো প্রতিবেশী সম্পর্ক’ সহজতর করতে চীন যে ভূমিকা পালন করেছে তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ওয়াশিংটন বলছে, বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তারের চীনা প্রচেষ্টা মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি মার্কিন নীতি পরিবর্তন হবে না। এ ছাড়াও এই অঞ্চলটিতে সক্রিয় অংশীদার হিসেবে থাকার কথাও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, রয়টার্স, আল অ্যারাবিয়া

LEAVE A REPLY