নিপুণ দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য দায়ী হবেন : জায়েদ খান

জায়েদ খান ও নিপুণ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের যে প্রক্রিয়ার কথা শোনা গেছে, তা বাস্তবাইয়িত হলে চিত্রনায়িকা নিপুণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন এই অভিনেতা। নিপুণকে পাঠানো চিঠির জবাবে এ কথা উল্লেখ করেছেন আলোচিত এই অভিনয়শিল্পী। 

সম্প্রতি সাধারণ সম্পাদক নিপুণ- এর পাঠানো কারণ দর্শানোর চিঠিতেকে আদালত অবমাননা উল্লেখ করেছেন জায়েদ খান। তিনি এই চিঠির জবাবে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নিজেকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে ইস্যু করা চিঠিটিসুপ্রিম কোর্টের মহামান্য আপিল বিভাগ অবমাননার শামিল। বিচারাধীন মামলাটি Frustrate করার অসৎ উদ্দেশ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা হয়েছে। উক্ত অবৈধ নোটিশের প্রেক্ষিতে গৃহীত যে কোনো অবৈধ কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত হলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন। 

এ সময় জায়েদ খান নিজের অবস্থান পরিস্কার করে জানান তিনি কোনো আইনপরিপন্থী কাজ করেননি। যার ফলে নিপুণকে সমস্ত অবৈধ কার্যকলাপ থেকের বিরত থাকার আহবান জানান। 

শিল্পী সমিতির নির্বাচিত কমিটি থেকে অভিনেত্রী সুচরিতা ও চিত্রনায়ক রুবেলের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। সেইসাথে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত হতে যাচ্ছে আজ রবিবার। সমিতির একজন কার্যনির্বাহী সদস্য বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সদস্যপদ বাতিল প্রক্রিয়ার পূর্বে জায়েদ খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের একটি কপি কালের কণ্ঠের হাতে রয়েছে।  ঐ নোটিশে জায়েদ খানকে, নিপুণ সম্পর্কে ইউটিউবে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাক্ষর রয়েছে নিপুণের।  


জায়েদ খানের কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, জায়েদ খান বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও গণমাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তারের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন। শিল্পী সমিতি মনে করে, যা সমিতির সংগঠনের ৭(ক) ধারায় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। যা সমিতির সদস্য হিসেবে কাম্য নয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শিল্পী সমিতি জায়েদ খানের সদস্য পদ স্থগিত করতে যাচ্ছে।

তবে শাকিব খান অমিত হাসান সাক্ষরিত শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র বলছে, কারো সদস্যপদ স্থগিতের পূর্বে যাচাই/বাছাই ও কার্য নির্বাহী পরিষদের দ্বারা পূণর্মূল্যায়ণ করতে হবে। 

এ বিষয়ে জায়েদ খান কালের কণ্ঠকে বলছেন, ‘কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭ এর ক ধারা মোতাবেক আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধারাটি এমন যে সংগঠনের উদ্দেশ্য পরিপন্থী ও বিরোধী কার্যক্রম করলে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। কিন্তু এটা পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে মামলা এখনো বিচারাধীন। হাইকোর্ট আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রায় দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে নিপুণ আপিল করেছে, যে আপিলটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সেই বিচারাধীন পদ নিয়ে নিজেকে কিভাবে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে তিনি আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।’

জায়েদ খান দাবি করেন, ‘জোর করে সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব নেওয়া নিপুণের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি বলেই তিনি আমার সদস্যপদ বাতিলের পায়তারা করছে।’

LEAVE A REPLY