ইসরায়েলের উগ্র-জাতীয়তাবাদী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। ছবি : গেটি ইমেজেস
ইসরায়েলে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী গঠনের প্রস্তাবের ওপর রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটি হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে, কিছু মন্ত্রী এ প্রস্তাবের ব্যাপারে আপত্তি করলেও শেষ পর্যন্ত তারা এর পক্ষেই ভোট দেন।
দৈনিক হারেৎজ খবর দিচ্ছে, বেন গভিরের উগ্র ডানপন্থী দল ওৎজমা ইয়েহুদিৎ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে বিচার বিভাগের বিতর্কিত সংস্কার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার বিনিময়ে এই ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী প্রতিষ্ঠার সবুজ সংকেত দেওয়া হবে।
এই বাহিনী ইসরায়েলের উগ্র-জাতীয়তাবাদী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানা গেছে।
ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সশস্ত্র বাহিনীটি ইসরায়েলজুড়ে মোতায়েন করা হবে এবং ‘জাতীয়তাবাদী অপরাধ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই এবং প্রশাসনকে শক্তিশালী করার জন্য কাজে লাগানো হবে।’
এদিকে ইসরায়েলের মানবাধিকার সংগঠন সতর্ক করেছে, এর ফলে তাদের ভাষায় একটি ‘প্রাইভেট সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি হবে’। গত বুধবার এ পরিকল্পনা প্রকাশ পাওয়ার পর তেল আবিবে এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকশ লোক বিক্ষোভ করেছিল।
ইসরায়েলের একটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের প্রধান নোয়া সাত্তাত বলছেন, তিনি আশংকা করেন যে দেশের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিরুদ্ধে এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনের জন্য এই বাহিনী ব্যবহৃত হবে। এমনকি ইসরায়েলের পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিনবেটও এই ন্যাশনাল গার্ড প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছে বলে দৈনিক হারেৎজ জানাচ্ছে।
তবে বেন-গভির, যিনি ইতিপূর্বে বর্ণবাদ উস্কে দেওয়া এবং সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত হয়েছিলেন, তিনি বহুদিন ধরেই এই বাহিনী গঠনের কথা বলে আসছিলেন। তার যুক্তি ছিল, অরাজকতা মোকাবেলার জন্য এ রকম বাহিনী দরকার।
সূত্র : বিবিসি