তাজমহল-কুতুব মিনার ভেঙে মন্দির তৈরির দাবি বিজেপি বিধায়কের

তাজমহল গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানালেন ভারতের আসাম রাজ্যের এক বিধায়ক। শুধুমাত্র তাজমহল নয়, দিল্লির কুতুবমিনারও ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই দাবির পাশাপাশি সেখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করার কথাও বলেন ওই বিধায়ক। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে মঙ্গলবার এই আবেদন জানিয়েছেন আসামের মারিয়ানির বিজেপি বিধায়ক রূপজ্যোতি কুরমি।

এমনিতেই দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস থেকে মুঘল আমলের ইতিহাস বাদ দেওয়ার কথা বলেছে দেশটির কেন্দ্রীয় পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত সংস্থা এনসিইআরটি। এই নিয়ে ভারতজুড়ে বিতর্ক চলছে। তার মধ্যেই এই আজব দাবি করলেন আসামের শাসক দলের বিধায়ক।

বিধায়ক রূপজ্যোতি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তাজমহল এবং কুতুবমিনার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মন্দির তৈরি করা হোক।’ সেই সঙ্গে তার দাবি, এমনভাবে ওই মন্দির করা হোক যাতে তার কাছাকাছি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা স্থাপত্য তৈরি করা না যায়। মন্দির করার জন্য তিনি নিজের এক বছরের রোজগারের অর্থ দিতে রাজি বলেও জানিয়েছেন।

১৬৩১ থেকে ১৬৪৮ সালের মধ্যে সাদা পাথর দিয়ে তৈরি করা হয় তাজমহল। সম্রাট শাহজাহান এই অনন্য স্থাপত্য গড়েন তার স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিতে। সেখানে মমতাজের পাশেই আছে শাহজাহানের সমাধি। বিশ্বের সেরা ঐতিহ্যশালী স্থানের তালিকায় আছে তাজমহল। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম এই স্মৃতিসৌধ। এই তাজমহল দেখার জন্য ছুটে আসেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। আসেন বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপ্রধানরাও। সেই অনন্য স্থাপত্য ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এই বিধায়ক। আগেই আগ্রার নাম বদল করে অগ্রবন করার দাবি তুলেছে বিজেপি।

অন্যদিকে, দিল্লিতে ১৩ শতকে তৈরি করা হয় কুতুব মিনার। লাল পাথরে তৈরি ৭২.৫ মিটার এই মিনারের গায়ে এবং সেখানে নানা দেওয়ালে আছে নানা সুক্ষ কারুকাজ। ওই চত্বরেই আছে দুটি মসজিদ এবং লৌহ স্তম্ভ। অনেকেরই দাবি, ওই মসজিদ করা হয়েছিল মন্দির ভেঙে।

এমন এক সময়ে এই দাবি করা হয়েছে, যখন ভারতজুড়ে দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস বই থেকে মুঘল আমলের ইতিহাস বাদ দেওয়ার কথা বলেছে এনসিইআরটি। হিন্দি বইয়ের কিছু কবিতা এবং প্র্যারাগ্রাফকেও ‘সংশোধন’ করার কথাও বলা হয়েছে। সমাজ বিজ্ঞানের বই থেকেও বাদ দেওয়া হচ্ছে ইতিহাসের একাধিক বিষয়।

সূত্র : এই সময়

LEAVE A REPLY